২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই পালাবদলের হাওয়া লেগেছে বিশ্বক্রিকেটে। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান কিংবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ছাড়া মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছে তরুণ এক স্কোয়াড নিয়ে। ইংল্যান্ডও পরখ করতে চায় নিজেদের তরুণদের। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটও। বাংলাদেশের বিপক্ষ সিরিজকে নিজেদের ভবিষ্যত ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন কিউই কোচ গ্যারি স্টিড। 

গত কয়েকমাস ধরেই টানা খেলে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের মূল ক্রিকেটাররা। এই সিরিজে তাদের কিছুটা বিশ্রামে রেখেই দল ঘোষণা করা হয়েছে। আর একেই কিউই ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন কোচ গ্যারি স্টিড। ডানেডিনে ম্যাচ শুরুর আগে এই কোচের বক্তব্য, ‘এই সিরিজের পর ৯-১০ মাস আমরা আর কোনো ওয়ানডে খেলব না। কাজেই ভবিষ্যতের জন্য কিছু সম্ভাবনাময় মুখ খুঁজে বের করার এটা ভালো একটা সুযোগ।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কারা নেই, সেই তালিকাটা বেশ বড়। নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন নেই। নিউজিল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে টিম সাউদি, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস ও ডেভন কনওয়েকে। চোট-আঘাতের কারণেও দলের বাইরে আছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, জেমস নিশামরা। আর ট্রেন্ট কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে সরে দাঁড়িয়েছেন সিরিজ থেকে।

তাদের বদলে যাদের দেখা যাবে, আগামী বছরগুলোতে তারাই হতে পারেন কিউই ক্রিকেটের প্রতিনিধি।  অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসন, ফাস্ট বোলার উইল ও’রুর্ক ও লেগ স্পিনার আদিত্য অশোককে প্রথমবার দেখা যেতে পারে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে। আবার নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলা বেন সিয়ার্সের জন্যও খুলে যেতে পারে ওয়ানডে অভিষেকের দরজা। 

নতুন আসা খেলোয়াড়দের নিয়ে গ্যারি স্টিড ঠিক কতখানি উচ্ছ্বসিত তা টের পাওয়া গেল সংবাদ সম্মেলনে, ‘দলের দক্ষতা ও সামর্থ্যে তারা যা যোগ করতে যাচ্ছে, সেটা সত্যিই রোমাঞ্চকর। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন এবং অনভিজ্ঞরা এলে সেটা দলের মধ্যেও বাড়তি উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। সেটা দেখা সব সময়ই চমৎকার।'

জেএ