সবার অগোচরে যেন নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন নাথান লায়ন। পেসারদের উর্বরভূমি হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়াতে অফ স্পিনে ফুল ফুটিয়েছেন সতীর্থদের কাছে ‘গ্যারি’ নামে পরিচিত এই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়াতে স্পিন নির্ভর আক্রমণের প্রায় পুরোটা একটা সময় সামলেছিলেন শেন ওয়ার্ন। ইতিহাসে লেগস্পিনার হিসেবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট তার। সবমিলিয়ে দ্বিতীয়। 

ওয়ার্নের পর বেশ খানিকটা সময় ফাঁকাই থেকেছে টেস্টে অজিদের স্পিন আক্রমণ। এরপর ২০১১ সালে এলেন নাথান লায়ন নামের এক তরুণ। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ফিরিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারাকে। এরপর থেকে গ্যারি কেবল ছুটেছেন। ১ যুগ পর আজ পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০০তম উইকেট। ওয়ার্ন, ম্যাকগ্রার পর তৃতীয় অজি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে ঢুকেছেন তিনি। 

নিজের ১২৩তম ম্যাচে এসে ৫০০তম উইকেটটি পেলেন লায়ন। ম্যাচের হিসেবে পঞ্চম দ্রুততম এই অস্ট্রেলীয়। ৮৭ ম্যাচে ৫০০ ছুঁয়ে এই রেকর্ডে সবার ওপরে মুরালিধরন। দ্রুততম ৫০০ উইকেটশিকারিদের তালিকায় মুরালিধরন ছাড়া লায়নের ওপরে আছেন ভারতের অনিল কুম্বলে (১০৫ ম্যাচ), অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন (১০৮) ও অস্ট্রেলিয়ার পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা (১১০)।

নাথান লায়ন অ্যাশেজ শেষ করেছিলেন ৪৯৬ উইকেট নিয়ে। সেসময় কাফ ইনজুরির কবলে পড়েন তিনি। নিজেই জানিয়েছেন, এমন ইনজুরির পর ফিরে আসা কঠিন ছিল তার জন্য, ‘এটা এমনকিছু যার জন্য আমি গর্বিত। যেভাবে আমি অ্যাশেজ শেষ করেছিলাম, তার পর আমার অনেককিছু চিন্তাভাবনা করতে হয়েছিল। সবরকমের রিহ্যাব করে এখানে ফিরে আসা। ৫০০ উইকেট নেওয়া বেশ বড় মাইলফল্ক।’ 

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই ৫০০ উইকেট হয়ে যেতে পারত তার জন্য। আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম উল হক আর আমির জামালকে ফিরিয়ে ৪৯৯ উইকেটে গিয়ে থামেন তিনি। এরপর ৫০০তম উইকেট পেয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। লায়নের ৫০০ উইকেট পাওয়ার দিনে অস্ট্রেলিয়াও পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। 

জেএ