নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরালেন নাহিদ রানা। তরুণ এই পেসারের গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায় ছিলেন পূর্বাঞ্চলের ব্যাটাররা। মুমিনুল হক-মাহমুদুল হাসান জয়রা ব্যর্থ হলেও প্রতিরোধ গড়েন শাহাদাত হোসেন দিপু। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহই গড়েছিল দল। তবে প্রীতম কুমার-আকবর আলিদের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্য সহজেই টপকে গেছে উত্তরাঞ্চল। ৪ উইকেটের জয়ে ১১তম বিসিএলের (ওয়ানডে) শিরোপা জিতেছে উত্তরাঞ্চল।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে পূর্বাঞ্চল। ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন দীপু। জবাবে খেলতে নেমে ৪৩ অভার ৪ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উত্তরাঞ্চল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি উত্তরাঞ্চলের। ১০ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন হাবিবুর রহমান সোহান। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অমিত হাসানও। তাছাড়া এদিন ব্যর্থ হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুনও। ফলে নিয়মিত বিররিতে উইকেট হারিয়েছে দল

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৪৩ রান। টপ অর্ডারে তামিম ছাড়া আর কেউ রান না পেলেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। বিশেষ করে প্রীতম ও কুমার ও আকবর আলী দুর্দান্ত ছিলেন। দুজনই ফিফটির দেখা পেয়েছেন।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে পূর্বাঞ্চল। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাত হোসেন দীপু। ইমন ৮৯ বলে করেছেন ৭৩ রান। আর দীপু অপরাজিত ছিলেন ১২২ বলে ১১৩ রান করে। উওরাঞ্চলের হয়ে ৫০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ রানা।

এইচজেএস