ফিলস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে বিশেষ বুট পায়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা ছিল উসমান খাজার। তবে আইসিসি তাদের পোশাক বিষয়ক নীতিমালা মনে করিয়ে দেওয়ায় সেটি আর পরেননি খাজা। তবে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলেছিলেন এই অজি ওপেনার। আর অনুমতি ছাড়া আর্মব্যান্ড পরার কারণে খাজাকে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এরপর মেলবোর্ন টেস্টের আগেও অভিন্ন কারণে আলোচনায় আসেন খাজা। নিজের ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার লাগিয়ে বক্সিং ডে টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন এই অজি ওপেনার। তবে খাজাকে সেই অনুমতিও দেয়নি আইসিসি।

বক্সিং ডে টেস্টকে সামনে রেখে মেলবোর্নে যে অনুশীলন করেছিল অজিরা, সেখানে ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও ‘01: UDHF’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে অনুশীলন করেন খাজা। যেখানে লেখা ছিল, ‘সব মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং মর্যাদা ও অধিকারেও তারা সমান’—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণার রেফারেন্স হিসেবেই ‘01: UDHF’ সংকেতটা ব্যবহৃত হয়।

এরপর আইসিসির অনুমতি না পাওয়ায় মূল ম্যাচে এই সংকেত ও প্রতীক ব্যবহার করেননি তিনি। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে তা করতে না পারলেও এবার তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।

গতকাল গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের জুতা ও ব্যাটের পেছনের দিকে এই স্টিকার নিয়ে নামেন খাজা। যদিও স্টিকার সংবলিত ব্যাটটি ভেঙে যাওয়ায় নতুন ব্যাট নিতে হয় তাকে। তবে পরের ব্যাটটিতে অমন স্টিকার ছিল না।

ব্যাটিংয়ের সময় সরাসরি ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে কথা বলতে থাকা খাজা জানান, অতিরিক্ত কোনো ব্যাটই এ ম্যাচের জন্য নিয়ে আসতে চাননি। তবে স্ত্রী র‍্যাচেল খাজার জোরাজুরিতেই আরেকটি ব্যাট সঙ্গে নেন।

আইসিসি অনুমোদন না দিলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঠিকই পাশে ছিল খাজার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজিও খাজার ‘সাহসিকতার’ প্রশংসা করেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগেই জানিয়েছিল, চাইলে খাজা অমন স্টিকার নিয়ে বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে পারবেন। এটি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগ বলে আইসিসির এখতিয়ারের বাইরে। খাজা আজ করেছেন সেটিই। ওপেনিংয়ে নেমে জেসন বেহরেনড্রফের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে এ ম্যাচে খাজা করেন ৮ বলে ১৪ রান।

এইচজেএস