দেশের ক্রিকেটের বড় দুই বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। ফলে ব্যক্তিগত দ্বৈরথের পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণে দেশসেরা দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই ‘হাইভোল্টেজ ম্যাচে’ রূপ নিয়েছে। মর্যাদার লড়াইয়ের এই ম্যাচে শুরুর দাপটটা দেখিয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। সাকিব নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তার রংপুর রাইডার্সও ভালো করেনি। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলতে পারবে কি না সেই শঙ্কাও ছিল তাদের। তবে শামিম পারটোয়ারী ও শেখ মেহেদীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষদিকে তারা মান বাঁচানোর পুঁজি পেয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে রংপুরের সংগ্রহ ১৩৪ রান।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (শনিবার) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। ফলে নুরুল হাসানের সোহানের রংপুর শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে। শুরু থেকে তারা ছিল ছন্নছাড়া ও নড়বড়ে। পরে শুরুর ধাক্কা সামলাতে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন অধিনায়ক সোহান ও শামীম। শেষদিকে সজোরে ব্যাট চালিয়ে শেখ মেহেদী তাদের বিপন্ন অবস্থা কাটিয়েছেন। ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এর আগে দিনের প্রথম বলেই উইকেট হারায় রংপুর। পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ ইমরানের ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রেন্ডন কিং। সেই চাপ সামলানো তো দূরে থাক, দ্বিতীয় ওভারে এক বল বিরতি দিয়ে পরপর আউট হয়ে যান রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসান। টাইগার পেসার খালেদ আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরানের হাতে ক্যাচ দেন রনি। ৭ বলে তিনি মাত্র ৫ রান করেন। এরপর বলের লাইন না বুঝে বোকা বনে যান সাকিবও। ২ রান করেই তিনি বোল্ড হন খালেদের বলে।

বরিশালের হয়ে এরপর ঘূর্ণি দেখান লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে। ৬ রান করে তার বলে তাকেই ক্যাচ দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দলের আরও বিপর্যয় ঠেকানোর দায়িত্ব নেন সোহান ও শামীম। তবে স্ট্রাইকরেট বাড়াতে না পারায় চাপ তৈরি হয় রংপুর দলনেতার ওপর। দুটি ছক্কায় ২৩ বলে সমান ২৩ রান করেন সোহান। শোয়েব মালিকের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমকে। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ১০ রান তুলতেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তিনি ক্যাচ দেন শোয়েবকে।

শেষদিকে তাও রংপুরের মান বাঁচে শামীম ও শেখ মেহেদীর ব্যাটে। শামীম ধীরস্থির ব্যাটিং করলেও মেহেদী রানের গতি বাড়ান। ৪ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ৩৪ রান (৩৩ বল) করার পথে একটি করে চার-ছক্কা মারেন শামীম।

বরিশালের হয়ে ৩১ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন খালেদ। এছাড়া মেহেদী মিরাজ ২টি এবং ইমরান, ভেল্লালাগে ও মালিক শিকার করেন একটি করে উইকেট।

এএইচএস