বাংলাদেশের অনেক ‘কীর্তির’ এক সকাল
অনেক কীর্তির এক জুটিতে শান্ত-মুমিনুল/এসএলসি
মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানে ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আজ বৃহস্পতিবার যেন আরো প্রত্যয়ী, আরো আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। তাতে চতুর্থ সেশনে উইকেট হারায়নি, গড়া হয়ে গেছে অনেক কীর্তিও।
এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ১১৮ ওভার, বাংলাদেশ তুলেছে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৭৮ রান। সেশনের ২৮ ওভার থেকে কোনো উইকেট না হারিয়ে সফরকারীরা যোগ করেছে ৭৬। দিনের দশম ওভারের অবশ্য নিজেদের ইতিহাসে বিরল এক কীর্তির স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শততম ওভার পেরিয়েছে দুই উইকেট খুইয়ে, এমন কীর্তি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ দেখিয়েছে সেই ২০০৩ সালে, ১৮ বছর আগে পেশোয়ারে এমন কিছু ঘটেছিল সর্বশেষ। এরপর এই পাল্লেকেলে।
বিজ্ঞাপন
এরপর মুমিনুল হকও গড়েছেন কীর্তি। অবশ্য কীর্তি বলার চেয়ে স্বস্তি বললেই হয়তো বেশি যথার্থ হয়। প্রায় সাড়ে ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তাতে পেয়েছেন দশটি শতকের দেখা। এ রেকর্ডে অবশ্য কোনো অস্বস্তি থাকার কথা নয় তার। অস্বস্তিটা যেখানে সেটা হচ্ছে, সে সেঞ্চুরির একটাও নেই দেশের বাইরে। এমন ‘কীর্তি’ ক্রিকেট ইতিহাসেই অনন্য। এমন কীর্তি অবশ্য অস্বস্তির।
মুমিনুলের সে অস্বস্তিটাই ঘুচেছে প্রথম সেশনে। ইনিংসের ১১১তম ওভারে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে কভার ড্রাইভে সীমানাছাড়া করে পান দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরিটা। তাতে বাংলাদেশকে আরেকটি প্রথমের স্বাদটাও পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। আগের দিন তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গিয়েছিলেন। চারে নামা মুমিনুল পেলেন আজ।
বিজ্ঞাপন
ব্যাটিং অর্ডারের তিন ও চারের ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি একই ইনিংসে বাংলাদেশ দেখেনি আর কখনোই। সে অচেনা স্বাদই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে পাইয়ে দিয়েছেন মুমিনুল ও শান্ত। এমন সব কীর্তির এক সেশনে ইনিংসে আরও ৭৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ। ফলে আগের তিন সেশনের মতো এই সেশনেও বিজয়ীর হাসিটা বাংলাদেশেরই।
এনইউ/এটি