নিশামের ঝড়ে বড় সংগ্রহ রংপুরের
আসর জুড়েই রান পেয়েছে রংপুর রাইডার্সের টপ অর্ডার। তবে কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে ব্যর্থ হয়েছেন রনি তালুকদার-সাকিব আল হাসানরা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে আরও একবার দলকে টেনে তুললেন জিমি নিশাম। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছে রংপুর।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলেছে রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন নিশাম।
বিজ্ঞাপন
আজ ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া হয়েছিল শামিম হোসেনকে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে পুরোপুরি ফ্লপ এই তরুণ ব্যাটার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তানভির ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেলের হাতে। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন শামিম।
সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। ১১ বলে ১৩ রান করেছেন তিনি। দ্রুত দুই ওপেনার ফেরার পর একই পথে হেটেছেন সাকিব আল হাসান। তিনে নেমে ৯ বল খেলে মাত্র ৫ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বিজ্ঞাপন
২৭ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল দল তখন হাল ধরেন জিমি নিশাম। চতুর্থ উইকেটে শেখ মেহেদিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন এই কিউই। ২২ রান করে মেহেদি ফেরার পর ভাঙে সেই জুটি।
আসরে প্রথম খেলতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন নিকোলাস পুরাণ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। এই ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটারের ব্যাট থেকে ৯ বলে এসেছে ১৪ রান। আর শেষদিকে ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে নিশামকে সঙ্গে দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
নিশাম এদিন তার বিপিএল সেরা ইনিংস খেলেছেন। দারুণ ব্যাটিং করলেও শেষটায় তার খানিকটা আফসোস থাকতে পারে! সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই কিউই। তার ব্যাটে ভর করেই লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে রংপুর।
এইচজেএস