জাতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট খেলতে না চাওয়ার ঘটনায় পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন হারিস রউফ। যা নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে আলোচনার জন্ম দেয়। পিএসএলে রউফের দল লাহোর কালান্দার্সের মালিক সামিন রানা তো বলেই দিলেন যে, পিসিবি তাদের তারকা পেসারের মানহানি করেছে। এরই মাঝে ফের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রউফকে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। 

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে পিসিবি রউফের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডিসেম্বরে টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয় বলে জানায় পিসিবির গভর্নিং বডি। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। যেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে নাম প্রত্যাহারের কারণও ব্যাখ্যা করেন। তাই বিষয়টি পিসিবি আবারও পর্যালোচনা করছে বলে সূত্রমতে নিশ্চিত পাক সংবাদমাধ্যমটি।

এর আগে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে রউফকে বাদ দেওয়ার সময় পিসিবির গভর্নিং বডির বিবৃতিতে বলা হয়— অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩-২৪ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থাকতে না চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় পিসিবি পেসার হারিসকে শাস্তি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল হয়েছে তার। একইসঙ্গে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তাকে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের এনওসি–ও দেওয়া হবে না।

বর্তমানে চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন হারিস রউফ। পিএসএলে  লাহোরের একটি ম্যাচে লং-অফে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টায় মাটিতে পড়ার সময় কাঁধে আঘাত পান রউফ। সেই সময়ই তিনি ব্যথায় মাটিতে গড়াগড়ি দিতে থাকেন। ফলে তার চোট যে কিছুটা গুরুতর সেটি তখনই ধারণা করা গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে তাকে দেখা যায় গলার সঙ্গে হাত ব্যান্ডেজ দিয়ে পেছানো অবস্থায়। 

পরবর্তীতে স্ক্যান রিপোর্টে জানা যায়– কাঁধের স্থানচ্যুতি (ডিসলোকেশন) হয়েছে রউফের। পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে হারিসকে। যার ফলে পিএসএলের এবারের আসরও কার্যত শেষ তার জন্য। এদিকে, পিএসএল শুরুর দুদিন আগে হারিসের সমালোচনা এবং কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে অপমানজনক বলে মনে করছেন লাহোর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সামিন রানা।

ওই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বাড়াবাড়ি বলেও জানান সামিন, ‘ওই সময়ে (পিএসএলের আগমুহূর্তে) এমন ঘোষণা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কারণ নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সিরিজ নেই কিংবা ইমারজেন্সি পরিস্থিতি ছিল না যে তখনই কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিতে হবে। যে যুক্তিই দেখানো হোক, সময়টা যথাযথ ছিল না। এটি মানসিকতার ওপর বড় আঘাত, কারণ সারাজীবনই তার লক্ষ্য পাকিস্তানের হয়ে খেলা। আমি কখনও আমার একজন ক্রিকেটারকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলব না। সে কমপক্ষে একটি ফোনকল, ইমেইল কিংবা মেসেজ পাওয়ার যোগ্য। রউফের সঙ্গে যা ঘটেছে তা বেদনাদায়ক।’

এএইচএস