একজন কোচের জন্য যা কিছু দরকার, তার প্রায় সবই পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি গ্যারি কারস্টেন। ২০১১ সালে ভারতের কোচ হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পেয়েছেন। টেস্টে এক নম্বর দলে পরিণত করেছেন। যদিও কারস্টেনের হাতে শোভা পায়নি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও এবার পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচ হচ্ছেন ঠিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই। 

পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেটে আগামী দুই বছরের জন্য গ্যারি কারস্টেন। সাফল্যের জন্য মরিয়া পাকিস্তান এবার যেন নিজেদের লম্বা সময়ের শিরোপাখরা ঘুচাতে চায়। আর সেই তাড়না থেকেই দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কারস্টেনের মত অভিজ্ঞ কোচকে। আর সাবেক এই প্রোটিয়াও বাবরদের সামনে দিলেন কঠিন লক্ষ্য। জানালেন, দু’বছরে অন্তত একটি ট্রফি জিততেই হবে তাঁদের।

চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তার পরের বছর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০২৭-এ এক দিনের বিশ্বকাপ রয়েছে। আগামী দুই বছরে তাই চারটি বৈশ্বিক শিরোপায় খেলবে পাকিস্তান। যার মাঝে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা স্বাগতিক। এই ট্রফিগুলিই আপাতত পাখির চোখ কারস্টেনের।

বর্তমানে আইপিলের দল গুজরাট টাইটান্স দলের কোচ কারস্টেন। পাকিস্তানের দায়িত্ব নেবেন ২২ মে থেকে। তার আগে পিসিবি-র পডকাস্টে বলেছেন, ‘তিনটি আইসিসি ট্রফির মধ্যে একটা জিততে পারলেই দারুণ কৃতিত্ব হবে। সেটা পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হোক বা দু’বছর পরেরটা।’ 

কারস্টেনের বক্তব্য, ‘আমার কাজ দলের সেরাটা বের করে আনা। যদি দলে সব ঠিকঠাক থাকে তা হলেই ট্রফি জিততে পারব। দল এখন কোথায় রয়েছে সেটা জানা খুব দরকার। তার পরে ঠিক করব কোন দিকে যেতে হবে আমাদের। তবে আইসিসি ট্রফি জেতা খুবই দরকার।’ 

পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় নামের অভাব নেই। তারপরেও অবশ্য ৭ বছর ধরে শিরোপা নেই দলটির। সবশেষ ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যুক্ত হয়েছিল পিসিবির শো-কেসে। কারস্টেন এবার চান বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিদের সর্বোচ্চটা দেখতে, ‘বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ— ওদের নাম এখন সবার মুখে মুখে। ওরা অনেক দিন ধরেই ক্রিকেট খেলছে। আমি ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। দেখতে চাই কী করলে ওরা ভালো পারফর্ম করে। ওরা যেন ওদের সেরাটা দিতে পারে, সে চেষ্টা করব। তাহলে জাতীয় দলে উপকৃত হবে।’

একই পডকাস্টে কথা বলেছেন লাল বলের কোচ জেসন গিলেস্পি। টেস্ট ক্রিকেটে বিনোদন আর আক্রমণ করার মানসিকতা শোনা গেল তার মুখ থেকে, ‘আমি বলব, ইতিবাচক হও, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলো। মুখে হাসি নিয়ে দর্শকদের বিনোদন দাও। আবার এমন সময়ও আসবে, যখন লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আর এটাই টেস্ট ক্রিকেট। দক্ষতা, মানসিকতা ও ধৈর্যের পরীক্ষা। কখনো আক্রমণ করতে হবে, আবার কখনো চাপ নিতে হবে।' 

জেএ