আইপিএল শেষ প্রোটিয়া তারকার, বিশ্বকাপের আগে অস্বস্তি
অনেকটা আগেভাগেই চলতি আইপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে পাঞ্জাব কিংস। তবে এখনও তাদের দুটি ম্যাচ বাকি। সেসব ম্যাচ আর খেলা হচ্ছে না দলটির দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদার। পায়ে ইনফেকশনের কারণে তিনি নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই তাকে সুস্থ অবস্থায় পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)।
কোনো কারণে রাবাদার সুস্থ হতে সময় বেশি লাগলে বিশ্বকাপে একই গ্রুপে থাকা বাংলাদেশও উপকৃত হতে পারে! যদিও সেই সম্ভাবনা কম, কারণ পায়ের নিচের দিকে ‘সফট টিস্যু ইনফেকশন’ সারতে সাধারণত ৫–১৪ দিন লাগে। সে হিসেবে নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগেই রাবাদাকে ফিট অবস্থায় পেয়ে যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ৩ জুন বিশ্বকাপে তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে এইডেন মার্করাম নেতৃত্বাধীন দলটির ম্যাচ।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক টুইটে সিএসএ বলছে, ‘পায়ের ইনফেকশনের কারণে আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরেছেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা। দেশে ফেরার পরই ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন এবং পুরো বিষয় দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের মেডিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে রেখেছে। আশা করি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে তার এই চোট বড় প্রভাব ফেলবে না।’
— Proteas Men (@ProteasMenCSA) May 15, 2024
এদিকে, প্রোটিয়া পেসার আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া খুব একটা ভাবতে হচ্ছে না পাঞ্জাবকে। কারণ বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের প্লে–অফে যাওয়ার সুযোগ নেই। বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার দলের হয়ে এবার ১১ ম্যাচে ৮.৮৫ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। প্রোটিয়া তারকা খুব একটা ফর্মে আছেন সেটিও বলার উপায় নেই! তবে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের প্রধান অস্ত্র যে তিনি, আরেক পেসার লুঙ্গি এনগিডি আছেন চোটে। সে কারণে তাকে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অন্যদিকে, বর্তমানে নতুন আরেকটি সমস্যা মোকাবিলা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির জাতীয় দলে এক মৌসুমে গড়ে প্রতি একাদশে ছয় জন করে শ্বেতাঙ্গ ছাড়া ভিন্ন বর্ণের খেলোয়াড় রাখার লক্ষ্য স্থির করেছে সিএসএ। যেখানে আবার কমপক্ষে দুইজন অবশ্যই কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হতে হবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটি বাস্তবায়ন করতে পারছে না আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। কারণ তাদের স্কোয়াডে ছয় জন ভিন্ন বর্ণের ক্রিকেটার থাকলেও কৃষ্ণাঙ্গ কেবল একজন, রাবাদা। আরেকজন এনগিডি চোটের কারণে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন।
ওই নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে রাবাদার প্রতিটি ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বকাপের পরে ২০২৪-২৫ মৌসুমের গড়টা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা বাকি পেসাররা হচ্ছেন— নয় মাস পর ইনজুরি থেকে ফেরা এনরিখ নরকিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজে, ওটনিয়েল বার্টম্যান ও মার্কো জানসেন।
এএইচএস