জাকের আলী অনিকের জন্য দিনটা খানিক মিশ্র আপাতত। ব্যাট হাতে ৩ ছক্কায় করা তার ৩৭ রানের ক্যামিওটা বাংলাদেশের স্কোর আড়াইশ পার করে দিয়েছে ঠিকই। তবে উইকেটের পেছনে দিনটা ভাল যাচ্ছে না তার। পাওয়ারপ্লেতে মিস করেছিলেন ক্যাচ। এরপর মিস করেছেন স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ। সেটার মাশুলও দিচ্ছে বাংলাদেশ। 

আফগানিস্তানের ব্যাটারদের ফেরানোর সুযোগ পেয়েও  হারিয়েছেন জাকের। উইকেটের জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষাটা তাতে বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে আফগানদের স্কোরবোর্ডের রানটাও। ২ উইকেট হারিয়ে দলীয় ১০০ রান স্পর্শ করেছে তারা। যদিও তাতে ২৫ ওভার শেষ করেছে দলটি। 

এরমাঝে বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ছাড়াই। ফিল্ডিং করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। আপাতত মাঠে অধিনায়কের দায়িত্বটা পালন করছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত আফগানিস্তানের স্কোর ২৬ ওভারে ১০৮ রান। পরের ২৪ ওভারে তাদের দরকার আরও ১৪৫ রান। 

আফগানিস্তানের ইনিংসে প্রথম আঘাতটা এসেছিল একেবারে শুরুর দিকেই। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে এই ম্যাচেও অল্পেই ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ফেলা বলে হয়েছেন আউট। বোলিং ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ওটাই। টাইগারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৪০ রান।

উইকেট না পেলেও অবশ্য বাংলাদেশের বোলিং ছিল নজর কাড়ার মতোই। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন তাসকিন। একমাত্র উইকেট পেয়েছেন তিনিই। অফস্ট্যাম্পের বাইরে করা বলে শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন গুরবাজ। আরেক পেসার শরীফুল ৫ ওভারে দিয়েছেন ২২ রান। মিরাজ পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে দিয়েছেন ১ রান।

সেদিকুল্লাহ আতালকে নিয়ে এরপর ধীরগতিতে ইনিংস টেনে নিয়েছেন রহমত শাহ। ৭৬ বলে দুজনের জুটি থেকে স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় আরও ৫২ রান। দলীয় ৭০ রানে আতালকে নিজের স্পেলের প্রথম বলেই ফেরান নাসুম। যদিও এতে কৃতিত্ব বেশি পাবেন মিরাজই। লাফিয়ে উঠে বেশ চোখে পড়ার মতোই এক ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি। 

এরপর থেকে অবশ্য আর কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ধীরগতির ব্যাটিংটাই আপাতত চাপ বাড়াচ্ছে টাইগার ইনিংসে। 

জেএ