আমলার সঙ্গে যৌথভাবে বাবরের দ্রুততম রানের রেকর্ড
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে ততটা ধারাবাহিক নন, তবে ঠিকই বিন্দু বিন্দু করে বাবর আজম ওয়ানডেতে ৬০০০ রানের মাইলফলক পূর্ণ করেছেন। যা যৌথভাবে দ্রুততম এই মাইলফলক পূরণের রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি হাশিম আমলাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাবরের সামনে। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে ছয় হাজার রান করতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪৩।
তবে ফর্মের ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ১০ এবং ২৩। ফলে আজ (শুক্রবার) ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে কিউইদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাবর আর ১০ রান করলেই ওয়ানডেতে ৬০০০ রান হয়ে যেত। সেটি ছাড়িয়ে তিনি আউট হওয়ার সময় রানটাকে নিয়ে গেছেন ৬০১৯–এ। এই রান করতে বাবরের লেগেছে ১২৩টি ওয়ানডে ইনিংস। সমান ইনিংস খেলে আমলাও একই কীর্তি গড়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া ওয়ানডেতে ৬০০০ রান করতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১৩৬ ইনিংস লেগেছে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির। এ ছাড়া সমান ১৩৯তম ওয়ানডে ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সাবেক কাপ্তান কেইন উইলিয়ামসন এবং সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ছয় হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান।
এই কীর্তিতে যৌথভাবে শীর্ষে থাকা বাবর এ নিয়ে একাদশ পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬০০০ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ১১৭০১ রান নিয়ে শীর্ষে ইনজামাম-উল-হক এবং এরপর যথাক্রমে আছেন মোহাম্মদ ইউসুফ (৯৫৫৪ রান) ও সাঈদ আনোয়ার (৮৮২৪ রান)। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২০টি সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে আছেন সাঈদ আনোয়ার। একটি সেঞ্চুরি কম (১৯) নিয়ে বাবর সেই রেকর্ড ভাঙার খুব নিকটে অবস্থান করছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এর আগে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫০০০ রান করারও রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি সেই মাইলফলক পূর্ণ করেন মাত্র ৯৭ ইনিংসে। অর্থাৎ, আরও এক হাজার রান করতে এই পাক তারকার লেগেছে ২৬ ইনিংস। তবে সময়টা খুব সুখকর যাচ্ছে না বাবরের। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই তিনি ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক নন। সর্বশেষ সাতটি ওয়ানডে ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন মাত্র দু’বার।
বাবরের মাইলফলক গড়ার রাতে অবশ্য কিউইদের বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি পাকিস্তান। এই তারকা আউট হয়ে যান ৩৪ বলে ২৯ রান করে। এ ছাড়া অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৬, সালমান আলি আগা ৪৫ ও তৈয়ব তাহিরের ৩৮ রানে ভর করে পাকিস্তান অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২৪২ রান তোলে। ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হতে সেই রান ডিফেন্ড করতে হবে পাক বোলারদের। অন্যথায় জয়ের পাল্লাটা চলে যাবে কিউইদের দিকে।
এএইচএস