‘জাতীয় দলের পরিবেশ চমৎকার, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ পজিটিভ’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গেল বৃৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে দেশ ছাড়ার আগে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন দলের ক্রিকেটাররা। সঙ্গে ছিলেন দেশের কোচরা। বিপিএলের পর শের-ই বাংলার সেই অনুশীলনই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি।
ক্রিকেটারদের রুদ্ধদ্বার সেই অনুশীলনের গুরু ছিলেন দেশী কোচরাই। তাদের মধ্যে ছিলেন তালহা জুবায়ের। বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে পরিচালনা করেছেন দারুণভাবে। দেশি কোচদের মধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এরইমাঝে। মিরপুরে অনুশীলন চলাকালে কাছ থেকেই দেখেছেন ক্রিকেটারদের সবকিছু।
বিজ্ঞাপন
আজ শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রথমে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে কথা বলেন তালহা। পরে দলের সহ-অধিনায়কের পদ পাওয়া নিয়ে এই কোচ বলেন, ‘(বিপিএলে) ক্যাপ্টেন্সির অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভালো হোক খারাপ হোক আমরা হয়তো ফাইনালে যেতে পারিনি। তবে আমরা দলটা নিয়ে যতদূর গেছি মিরাজের অনেক অবদান ছিলো। মিরাজের এই অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্যই কাজে লাগবে।'
বিজ্ঞাপন
জাতীয় বর্তমানে দল এবং ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুবই ভালো দাবি করে তালহা বলেন, ‘জাতীয় দলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে, মুশফিক, রিয়াদ। ক্রুশাল মোমেন্টে ওদের থেকেও অনেক পরামর্শ আসে। সালাউদ্দিন ভাই আছেন, ফিল সিমন্স আছে... এবার জাতীয় দলের পরিবেশটা খুবই চমৎকার ছিলো। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুবই পজিটিভ ছিলো এবং বড় ধরণের টুর্নামেন্টে গেলে এগুলো ম্যাটার করে।’
পরে কথা হলো আসন্ন ডিপিএল নিয়ে। এবারে তিনি প্রাইম ব্যাংকের কোচ। ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিং প্রশ্নে তালহা বলেন, ‘দেখেন আমি কখনো আম্পায়ারিং নিয়ে বাড়তি সুবিধা পাইনি। আম্পায়ারিংয়ের মান আমাদের দেশে ভালো। হ্যাঁ, আম্পায়াররা একটা ভুল সিদ্ধান্ত দিতে পারে, কিন্তু ওটা যে ইচ্ছেকৃত হয় তা না। আমরা সব সময় সময় চিন্তা করি একটা ভুল সিদ্ধান্ত মানে আম্পায়ার ইচ্ছেকৃত করেছে, আসলে তা না।’
‘আম্পায়ারদের মান দিনের পর দিন ভালো হচ্ছে, আমি আশা করব উনারা আরও ভালো করবেন। যেহেতু সৈকত ভাই মুকুল ভাই উনারা তরুণ আম্পায়ারদের একটা ভালো দিকে লাইন দেখাচ্ছেন। বিকেএসপিতে তো খেলা থাকবে, আমাদের তো ওরকম ভেন্যু নেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য। আশা করি ভালো লিগ কাটবে।’
এসএইচ