সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ ব্যাটিং। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসেও পাল্টায়নি টাইগারদের ব্যাটিংয়ের সেই চিত্র। টপ অর্ডার ব্যর্থতায় ৩৫ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে জাকের আলি ও তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অন্তত লড়াই করার পুঁজি পায় দল।

অবশ্য টপ অর্ডারের এমন ব্যর্থতার জন্য দুবাইয়ের উইকেটকেও কিছুটা দায় দিলেন হৃদয়। তার মতে স্লো উইকেটে ব্যাটিং করাটা ব্যাটারদের জন্য সহজ ছিল না। আর ৩০-৪০ রান বেশি করতে পারলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতো বলে বিশ্বাস এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের।

হৃদয় বলেন, ‘দ্রুত উইকেট হারানোর পরও যেভাবে কামব্যাক করেছি আমি আর জাকের। হয়তবা দুজনের ভেতর একজন যদি আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম দেখা যেতো ২৬০-২৭০ রান হতো। তখন খেলার পরিস্থিতিটা ভিন্ন হতো।'

আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনশ রানকেও বড় লক্ষ্য বলা যায় না। কিন্তু আড়াইশ রানেরও কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতকে ৪৬ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে, এটাই বলে দেয় উইকেট ব্যাটারদের পক্ষে ছিল না। এ প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, 'তারা রান তাড়া করেছে মনে হয় ৪৭ ওভারে (৪৬.৩)। সুতরাং উইকেটটা এত সহজ ছিল না। আমার কাছে মনে হয় ৩০-৪০ টা রান কম করেছি।’

টস জিতে আগে ব্যাটিং করা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আমি আগেও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, টস জিতলে আমরা কী করব সেটা নিয়ে একেবারে পরিষ্কার ছিলাম। আমাদের পুরো দলের ব্যাটিং করার ই পরিকল্পনা ছিল। শুধুমাত্র শুরুতে আমাদের কয়েকটা উইকেট পড়েছে এজন্য এই জিনিসটা হয়েছে।’

এইচজেএস