মাঠে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গম্ভীর, যে পরিকল্পনায় সফল শুভমান
শুরুতে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসের পর জাকের আলি আর তাওহিদ হৃদয়ের রেকর্ড জুটিতে ২২৮ রানের মোটামুটি লড়াকু পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়ায় রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল ভারতকে এনে দেন উড়ন্ত শুরু। যদিও একটা সময় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাচ্ছিল ভারতও।
সে সময় একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শুভমান। অপর প্রান্তে উইকেট পড়লেও ধৈর্য হারাননি তিনি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ব্যাট করার সময় ড্রেসিংরুম থেকে তাকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। কী বলেছিলেন কোচ?
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ১৪৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তখনও জিততে ৮৫ রান দরকার ছিল। সেই সময় আর একটি উইকেট পড়লে চাপ আরও বাড়ত। সেই কারণেই শুভমানকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গম্ভীর। ম্যাচ শেষে সে কথা জানিয়েছেন শুভমান। তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমাদের ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তখন সাজঘর থেকে বার্তা পাঠানো হয় যে আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে। সেটাই করেছি।’ অর্থাৎ, কোচের নির্দেশ পালন করেছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক।
বিজ্ঞাপন
নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শুভমান। বড় শট কম খেলেছেন। সিঙ্গেলস থেকে রান নিয়েছেন বেশি। ১২৬ বলে শতরান করেছেন। ২০১৯ সালের পর কোনো আইসিসি প্রতিযোগিতায় এটি কোনো ভারতীয় ব্যাটারের করা সবচেয়ে মন্থর শতরান। কিন্তু তারপরেও এই শতরানকে অনেকটা এগিয়ে রাখছেন শুভমান। তিনি বলেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। কোনো আইসিসি প্রতিযোগিতায় এই প্রথম শতরান করলাম। নিজের খেলায় আমি খুব খুশি।’
দুবাইয়ের উইকেটে রান তাড়া করা যে সহজ হবে না তা ব্যাট করতে নেমেই বুঝে গিয়েছিলেন শুভমান। তাই পরিকল্পনা বদল করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আর রোহিত ভাই ব্যাট করতে নেমে বুঝতে পেরেছিলাম কাট-পুল মারা সহজ হবে না। উইকেটে পড়ে বল আরও মন্থর হচ্ছিল। তাই পেসারদের বিরুদ্ধে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলছিলাম। স্পিনারদের বিরুদ্ধে সামনের পায়ে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমি আর বিরাট ভাই ঠিক করি, যতটা পারব পেছনের পায়ে খেলব। দৌড়ে রান নেওয়ার দিকে বেশি নজর দিয়েছিলাম। নইলে চাপ আরও বাড়ত।’
১২৯ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ন’টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন শুভমান। সেই দু’টি ছক্কার মধ্যে কোনটি তার বেশি ভালো লেগেছে? কাউকে এগিয়ে রাখেননি ভারতীয় ব্যাটার। শুভমানের জবাব, ‘একটা ছক্কা আমার ওপর থেকে চাপ কমিয়েছিল। আর একটা ছক্কা শতরানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তাই দুটির গুরুত্বই আমার কাছে সমান।’
এফআই/এফআই