চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতা, শান্ত-মিরাজসহ দলের কার কী আমলনামা?
দেশ ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নের কথা শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও বাইশগজে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে মাত্র পাঁচ দিন লড়াইয়ে টিকেছিল। টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর শেষ করেছে টিম টাইগার্স। ব্যর্থ মিশন শেষে আজ রাতেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
৮ দলের টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেট এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচেই সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি শান্তর দল। কোনো ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াইশো রানের পুঁজিও গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
কিউইদের কাছে হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। এমন ম্যাড়ম্যাড়ে লড়াই হয়তো প্রকৃতিও হতে দিতে চায়নি। বৃষ্টির কারণে গতকালকের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। গ্রুপপর্বে ৩ ম্যাচে ২ হার ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচের সুবাদে ১ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের গ্রুপে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
কার কী আমলনামা?
এবারের আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন তরুণ ব্যাটার জাকের আলি অনিক। ২ ম্যাচের ২ ইনিংসে ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১৩ রান করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের। ম্যাচে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। এ জুটি গড়ার পথে ১০০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন হৃদয়।
আসরে ১টি সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৭ রান করেছেন হৃদয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের বিপক্ষে খালি হাতে ফিরলেও, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে একটিতে শূন্য ও অন্যটিতে এক রান করেছেন। অন্যদিকে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে চোটের কারণে একাদশে না থাকলেও ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে দলে ফিরেছিলেন। যদিও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
টপ অর্ডারে সেভাবে কেউই আলো কাড়তে পারেননি। ওপেনার তানজিদ তামিম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৪ ও ২৫ রান করেছেন। সৌম্য সরকার এক ম্যাচ খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। টুর্নামেন্টে হতাশ করেছেন দলের ভাইস ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ব্যাট হাতে উপরের দিকে সুযোগ পেলেও রান পাননি। বল হাতেও ছিলেন উইকেটশূন্য।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী স্পিনার রিশাদ হোসেন। ২ ইনিংসে ৯৬ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ২টি ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নেন রিশাদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিন ৬৪ ও ফিজ ১০৪ রান দেন। এ ছাড়া ১টি উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার নাহিদ রানা। বাংলাদেশের হয়ে আর কোনো বোলার উইকেটের দেখা পাননি।
এফআই