চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লাহোরে আজ (শুক্রবার) মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংস যদিও নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছিল। যেখানে আফগানিস্তান দুই ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৪ রানের লড়াকু লক্ষ্য দেয়। এরপর অজিরাও ঝড়ের গতিতে রান তুলছিল। এরই মাঝে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হানা দিয়েছে তুমুল বৃষ্টি, ফলে বন্ধ রয়েছে খেলা।

লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া অনেকটা টি-টোয়েন্টি মেজাজেই ব্যাট করছে। ট্রাভিস হেডের ঝোড়ো ফিফটিতে তারা মাত্র ১২ ওভারেই দলীয় একশ পেরোয়। বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগপর্যন্ত ১২.৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৯ রান। সম্ভবত ডিএলএস পদ্ধতির কথা মাথায় রেখেই অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল। যা ম্যাচে এই মুহূর্তে অনেক এগিয়ে রেখেছে স্টিভ স্মিথের দলকে।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্যমতে, যদি ন্যূনতম ২০ ওভার খেলা হয় অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়াবে ১২৩ রান। অর্থাৎ, ৪৩ বলে তাদের প্রয়োজন মাত্র ১২ রান। এ ছাড়া ৩০ ওভার খেলা হলে তাদের লক্ষ্য হবে ১৯১ রান, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭.১ ওভারে ৮২ রান করলেই চলবে। তবে ম্যাচের ওভার কমানো শুরু হবে বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকলে। এই মুহূর্তে লাহোরে নেমেছে ঝুম বৃষ্টি। তাই খেলা আবারও মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে!

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে বরাদ্দ নেই। ফলে ম্যাচে ন্যূনতম ২০ ওভারের খেলা না হলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে আফগান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। এতে একটি করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দুই দলই। অস্ট্রেলিয়া এক পয়েন্ট পেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যাবে। আর আফগানিস্তানের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩। দক্ষিণ আফ্রিকাও তাদের শেষ ম্যাচে নামার আগে সমান ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা আফগানদের সেমিতে ওঠা হবে খুবই কঠিন!

রশিদ-নবিদের সেমিতে উঠতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারতেই হবে প্রোটিয়াদের। কেবল তাই নয়, তাদের হারে ব্যবধান হতে হবে ন্যূনতম (৩০১ লক্ষ্য তাড়ায়) ২০৭ রানের। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে আফগানদের জন্য অনেকটা জটিল সমীকরণ থাকলেও, সহজ হিসাব মিলিয়েই সেমিতে উঠতে পারে টেম্বা বাভুমার আফ্রিকা।

এএইচএস