রোহিতরা না গেলেও লাহোরে গিয়ে খেলা দেখছেন বিসিসিআই কর্মকর্তা
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর শেষের দ্বারপ্রান্তে। ইতোমধ্যে ভারত ফাইনালে উঠেছে, তাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত হতেই মনখারাপ করা পরিস্থিতিতে পড়েছে টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান। এমনিতেই তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে, তার ওপর ভারতের কারণে ফাইনালও হবে দেশটির বাইরে।
আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের ফাইনাল। পুরো টুর্নামেন্টই রোহিত শর্মার ভারত খেলছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে তারা পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার ব্যাপারে একাট্টা ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল অনুসারেই সূচি প্রস্তুতে সম্মতি দেয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। এমনকি রোহিত পাকিস্তানে না যাওয়ায় টুর্নামেন্টের আগে কোনো ক্যাপ্টেন্স ডে হয়নি। তবে আজ বিসিসিআই সেক্রেটারি রাজীব শুক্লাকে দেখা গেল লাহোরের গ্যালারিতে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচটি ক্রিকেট বোর্ডের ৬ প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এই নকআউট ম্যাচ সরাসরি দেখছেন। পিসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, লাহোরের সেমিফাইনাল ম্যাচে হাজির হওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা হচ্ছেন রাজীব শুক্লা (বিসিসিআই), রজার টিয়োজ (নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট), ফারুক আহমেদ (বিসিবি), ফোলেটসি আইজ্যাক মোসেকি ও ড. মোহাম্মদ মুসাজি (ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা) এবং মাহিন্দা ভাল্লিপুরাম (মালয়েশিয়া)।
আজ কয়েক ঘণ্টার জন্য চার্টার্ড বিমানে করে পাকিস্তানে পা রাখেন শুক্লা। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির আমন্ত্রণে দেশটিতে যেতে রাজীব শুক্লাকে মনোনীত করে বিসিসিআই। মূলত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সংস্কার করা হয় ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে। সে কারণেই ভেন্যুটিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নকআউট ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা করে পিসিবি। রাজীব শুক্লার এই সফর পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্ববহ, কারণ কয়েক মাস আগেই নিরাপত্তা ও সরকারের অনুমোদন নেই জানিয়ে সেখানে ক্রিকেট দলকে পাঠায়নি ভারত।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
রিজওয়ান-বাবরদের দেশে গিয়ে খেলতে ভারত আপত্তি জানিয়ে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেটি শর্তসাপেক্ষে মেনে নেয় পাকিস্তান। তারা পাল্টা ‘ফিউশন ফর্মুলা’ উত্থাপন করে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের সামনে। এর মানে ২০২৭ সাল পর্যন্ত দেশ দুটিতে হতে যাওয়া যেকোনো আইসিসি ইভেন্টেই তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে। এরই মাঝে পাকিস্তানে রাজীভ শুক্লার এই সফর দেশ দুটির মাঝে বিরূপ সম্পর্ক পরিবর্তনে কতটা প্রভাব রাখে সেটাই দেখার বিষয়!
এএইচএস