৩ হাজার ৬১৯ দিন পর অবশেষে বেঙ্গালুরুর ‘জয়’
২০১৫ সালের সেই ম্যাচের স্কোয়াড থেকে দলের সঙ্গে রয়ে গেছেন কেবল বিরাট কোহলি এবং ভুবনেশ্বর কুমার। নিলামে বেঙ্গালুরুতে আসার সুবাদে ভুবনেশ্বর সাক্ষী হলেন অসাধারণ এক রাতের আর বিরাট তো এই দলের জন্য ঘরের ছেলে। ৩ হাজার ৬১৯ দিন পর পাওয়া এক বিশেষ জয়ের দিনে ভুবনেশ্বর কিংবা কোহলি দুজনেই খেললেন দারুণ। ব্যাঙ্গালোর শহরকে দিলেন মনে রাখার মতো এক আনন্দের উপলক্ষ্য।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বিগত ১০ বছর ধরেই রীতিমত অজেয় হয়ে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য। সবশেষ তারা এই মাঠে স্বাগতিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই বছরের মে মাসের ১০ তারিখের ম্যাচে আরসিবি জিতেছিল ৩৯ রানে। আগে ব্যাট করে সেদিন ডি ভিলিয়ার্সের ১৩৩ আর কোহলির ৮২ রানে ভর করে ২৩৫ পর্যন্ত গিয়েছিল সফরকারীরা। আর মুম্বাই থেমেছিল ১৯৬ রানে।
বিজ্ঞাপন
গতকালের ম্যাচেও আরেকবার জ্বলে উঠলেন কোহলি। টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্তটা এদিন একেবারেই কাজে লাগেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য। ২০ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ছিল ২২১ রান। কোহলির উইলো থেকে এসেছে ৬৭ রান। রজত পতিদার করেছেন ৩২ বলে ৬৪ রান।
বিজ্ঞাপন
বিপরীতে মুম্বাই থেমেছে ২০৯ রানে। হার এসেছে ১২ রানে। খরুচে স্পেল করলেও ভুবনেশ্বর শেষে এসে পেয়েছেন ২৯ বলে ৫৬ রান করা তিলক ভার্মার উইকেট। যদিও কাজের কাজ করেছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪৫ রান খরচায় পেয়েছেন ৪ উইকেট। আর তাতেই ৩ হাজার ৬১৯ দিন পর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক্যালেন্ডারের হিসেবে সেটা ৯ বছর ১০ মাস ২৭ দিন!
আরও পড়ুন
এর আগে চলতি আসরে আরও একটা বৃত্ত ভেঙেছিল বেঙ্গালুরু। সেটা চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। এম চিদাম্বারামে তারা চেন্নাইকে হারিয়েছিল ৬ হাজার ১৫৪ দিন পর। ২০০৮ সালের প্রথম আসরেই বেঙ্গালুরু জয় পেয়েছিল চেন্নাইয়ের মাঠে। এরপর ১৮ বছর পর জয় এসেছে এবারের আসরে।
জেএ