ছক্কা–উইকেটের হিসাবে গাজায় ৪৩ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রিজওয়ানরা
বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে অন্যতম কালো অধ্যায় রচিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। দখলদার ইসরায়েলের নারকীয় গণহত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। ক্রীড়াঙ্গন থেকেও তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর নজির রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গাজায় আহত ও অনাহারে থাকা শিশুদের জন্য অর্থসহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান সুলতান্স।
গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পিএসএলের দশম আসর। এরই মাঝে গতকাল (শনিবার) দিবাগত রাতে নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দেওয়া এক বার্তায় গাজার মানুষের জন্য অনন্য পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল মুলতান। এদিন তারা করাচি কিংসের বিপক্ষে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। যেখানে মুলতান ক্রিকেটারদের প্রতিটি ছক্কা ও উইকেটের জন্য ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি (৪৩ হাজার টাকা) করে গাজার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের আগে টস দিতে নেমেই ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন মুলতানের অধিনায়ক রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘মুলতান সুলতান্সের পক্ষ থেকে আমি একটি ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের ক্রিকেটারদের মারা প্রতিটি চার, ছয় কিংবা উইকেট শিকারের জন্য আমরা ফিলিস্তিন ও গাজার শিশুদের জন্য কিছু বরাদ্দ করতে চাই।’ যদিও ওই মুহূর্তে আর্থিক অঙ্কটা জানাননি রিজওয়ান। মুলতান ফ্র্যাঞ্চাইজির এই মানবিক পদক্ষেপ ক্রিকেটভক্তদের কাছে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
— Multan Sultans (@MultanSultans) April 12, 2025
যা স্পষ্ট হয় মুলতান সুলতান্সের মালিক আলি তারিনের এক ভিডিও বার্তায়। তিনি জানান, ‘এবারের পিএসএলে মুলতান সুলতান ফিলিস্তিনে দাতব্য সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের ক্রিকেটাররা এই উদ্যোগের অংশ হতে চাওয়ায়, যখনই কোনো ব্যাটার ছয় হাঁকাবে, তখনই ফিলিস্তিনের জন্য ১ লাখ রুপি বরাদ্দ হয়ে যাবে। একইভাবে বোলাররা উইকেট পেলেও প্রতিটির জন্য বরাদ্দ হবে সমপরিমাণ অর্থ। বিশেষত শিশুদের জন্য এসব অর্থ ব্যয় করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার বিবাদমান পরিস্থিতি চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। যেখানে প্রতিবারই বর্বর ভূমিকায় দেখা যায় ইহুদি অধ্যুষিত দেশটিকে। নতুন করে ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে গত ১৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী-শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
এএইচএস