আইপিএলের সর্বশেষ নিলামে ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশীকে কোটি টাকায় কিনে হইচই ফেলে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এত টাকায় তাকে কিনে যে ভুল করেনি রাহুল দ্রাবিড়রা, সে প্রমাণ মাঠে দিচ্ছেন বিহারের এই কিশোর। ছক্কা মেরে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু। নিজের অভিষেক ম্যাচে রান পেলেও অতটা বড় করতে পারেননি ইনিংস। 

এরপর এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে যা করলেন তাতে নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট বিশ্বই। মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি কিংবা ১৪ বছর ৩২ দিনে আইপিএলে শতক হাঁকানো–বৈভব সূর্যবংশীর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পর রেকর্ডবুকে আলোড়ন তুলেছে। আগামী দিনে ভারতের মহাতারকা ভাবছেন কেউ কেউ। 

সর্বশেষ গতকাল (বৃহস্পতিবার) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বাস্তবতা টের পেলেন। এদিন শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন ১৪ বছরের বৈভব। সেই সঙ্গে যেন অমোঘ শিক্ষাটাও পেলেন, ক্রিকেট যেমন সাফল্য দেবে, তেমনই কঠিন পরীক্ষাও নেবে। জীবনে যেমন উত্থান-পতন রয়েছে, ক্রিকেটও সেই পাঠ দেয়। 

বৃহস্পতিবার বৈভবের বিপক্ষে ছিলেন যশপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশ্বসেরা বোলাররা। কিন্তু তারা বল করতে আসার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় বৈভবকে। ১৪ বছরের বিস্ময় বালককে দেখতে জয়পুরে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের সাবেক কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। 

আগের ম্যাচে দ্রুততম শতরান করে বৈভবও বুঝতে পারছিল, বড় মঞ্চে সাফল্য পেলে কীভাবে চারিদিকে চর্চা শুরু হয়ে যায়। এবার শূন্য রানে আউট হওয়ার পর মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখে ফেললেন। সেই সঙ্গে হয়তো বুঝে গেলেন, সব ম্যাচে নামলেই সাফল্য পাওয়া যায় না। খেলার মাঠে সাফল্য এবং ব্যর্থতা হাত ধরাধরি করে চলে। প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে কেঁদে ফেলেছিল সে। অবশ্য মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আউট হয়ে চোখে জল দেখা যায়নি।

তবে এদিনও তাকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ২ বলের বেশি বৈভব টিকতে পারেনি। দীপক চাহারের স্লোয়ার বুঝতে পারেনি। মিড অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে দেন। হতাশ মুখে তাকিয়ে ছিল। বুঝতে পারছিল তার জন্য তৈরি হয়েই নেমেছিল মুম্বাই। চাহারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।

এফআই