অনেকটা নতুন করেই এবারে নিজেদের দল সাজিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কখনো আইপিএলে শিরোপার দেখা না পাওয়া দলটা এবারে শুরু থেকেই ছিল ছন্দে। কিন্তু আসরের মাঝপথে এসে খেই হারানোর পর শেষে এসে খানিক বিপাকেই পড়তে হচ্ছে দলটাকে। গতকাল গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে হেরে বলতে গেলে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে অক্ষর প্যাটেলের দল। 

স্কোরবোর্ডে ১৯৯ রান তুলেও শনিবার মুস্তাফিজের দল জয় পায়নি গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। সাই সুদর্শনের দুর্দান্ত এক শতক এবং শুভমান গিলের ৯০ পেরুনো ইনিংসের সুবাদে ১০ উইকেটের হার হজম করতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। আর এই জয়ের পর গুজরাট নিজে যেমন প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে, একইসঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর প্লে-অফ। 

যার অর্থ,  আইপিএলের এবারের আসরে প্লে-অফের জন্য বাকি আছে আর কেবল ১টি জায়গা। সেই এক জায়গার জন্য লড়ছে ৩ দল। দিল্লির সঙ্গে এই দৌড়ে আছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর প্লে-অফে জায়গা করে নিতে এই তিন দলের ওপরেই নির্ভর করতে হবে দিল্লিকে। 

প্রথমত নিজেদের বাকি থাকা দুই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয় দরকার দিল্লির। সেইসঙ্গে লখনৌ যেন নিজেদের বাকি থাকা ৩ ম্যাচের অন্তত ১টায় হারে সেই প্রার্থনা করতে হবে তাদের। এই ক্ষেত্রে দিল্লি পাবে ১৭ পয়েন্ট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পরে পাঞ্জাবকে হারালেও আটকে থাকবে ১৬ পয়েন্টে। 

 

তবে এক ম্যাচ জিতেও প্লে-অফে যেতে পারে বর্তমানে ৫ম স্থানে থাকা দিল্লি। সেজন্য পরিস্থিতি অবশ্য খানিক জটিল।

  • দিল্লিকে অবশ্যই মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জিততে হবে। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে হারলেই বাদ তারা।
  • মুম্বাইকে পাঞ্জাবের বিপক্ষে হারতে হবে।
  • লখনৌকে বাকি থাকা তিন ম্যাচের একটায় অন্তত হারতে হবে। 

এই অবস্থায় দিল্লির ঝুলিতে থাকবে ১৫ পয়েন্ট। মুম্বাইয়ের অর্জন হবে ১৪ পয়েন্ট। আর লখনৌ আটকে থাকবে ১৪ কিংবা এর কমে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে ২১ তারিখের ম্যাচের ওপর। সেদিন মুম্বাইয়ের মাঠে তাদেরকেই হারাতে হবে দিল্লির। ওই ম্যাচ জেতা ছাড়া বিকল্প নেই মুস্তাফিজের দলের। 

জেএ