ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজের আগে চাপে ভারত। তাদের উদ্বেগের নাম জাসপ্রীত বুমরাহ। কারণ সিরিজের সব ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বুমরাহকে বুঝে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারত টিম ম্যানেজমেন্টকে।

দলের আরেক পেসার মোহাম্মদ শামিও পুরো ফিট নন। টেস্ট ম্যাচের চাপ নেওয়ার মতো জায়গায় এখনও নেই তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে রাখা হয়নি এই পেসারকে। পাঁচটি টেস্ট খেলার মতো ফিট নন বুমরাহও।

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সময় বুমরাহ পিঠে চোট পেয়েছিলেন। তাই তাকে বুঝে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) ফিটনেস বিশেষজ্ঞেরা। তাদের বক্তব্য, কোচ গৌতম গম্ভীরকে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার।

রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বুমরাহ। লাল বলের ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে ঘিরে অনিশ্চয়তা চাপে রেখেছে ভারতীয় শিবিরকে।

এনসিএর প্রাক্তন প্রধান ফিজিয়োথেরাপিস্ট আশিস কৌশিক বলেছেন, 'বোলিংয়ের চাপ নিতে পারার মতো শক্তিশালী থাকা এক জন বোলারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চোট কাটিয়ে খেলায় ফেরার সময় এটা নিশ্চিত করা দরকার। বিশেষ অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বোলারদের। দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্পেল করতে যাতে সমস্যা না হয়, সেটা দেখতে হয়। প্রতিটি স্পেলে একই ভাবে বল করতে পারছে কি না, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।'

'চাপ নেওয়ার ক্ষমতা প্রত্যেকের আলাদা। একজন বোলার কতটা এবং কতক্ষণ চাপ নিতে পারে, তা নির্দিষ্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, চোট-আঘাতের ঝুঁকি কমাতে চাপ নির্দিষ্ট পরিমাণে বজায় রাখতে হয়। কাজের চাপ সেই পরিমাণের থেকে বেশি বা কম হলে ঝুঁকি হয়ে যায়।'-যোগ করেন তিনি।

এইচজেএস