ছয়বার করোনা পরীক্ষা সাকিব-তামিমদের
ছবি: সংগৃহীত
করোনার মধ্যে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রায় ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজকে ঘিরে বাড়তি সতর্ক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন ছয়বার করোনা পরীক্ষা হবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের।
মার্চে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ হয় দেশের ক্রিকেট। ফলে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপর কোভিড-১৯ এর আতঙ্ক মাথায় নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করে বিসিবি। শুরুতে ৩ দল নিয়ে মাঠে গড়ায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ।
বিজ্ঞাপন
৫০ ওভারের সেই টুর্নামেন্ট শেষে আরো বড় পরিসরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে টাইগার বোর্ড। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে ৫ দলীয় সেই টুর্নামেন্টও বেশ সফলভাবে শেষ করে বিসিবি।
টুর্নামেন্ট দুইটি মাঠে গড়িয়েছিল জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে। যেখানে টুর্নামেন্টের শুরুতে একবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল সবাইকে। এরপর টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় বা সাপোর্ট স্টাফের সদস্যর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তবেই পরবর্তী পরীক্ষা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে আর বেশি সতর্ক বিসিবি। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। এই সিরিজ শেষ হওয়ার কথা ১৫ ফেব্রুয়ারি। তবে সিরিজ শুরুর ১০ দিন আগেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হবে টাইগার খেলোয়াড়দের। ৩৫ দিন কাটাতে হবে সুরক্ষা বলয়ে মধ্যে।
এই ৩৫ দিন ৬ বার করোনা পরীক্ষা হবে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের। এরই মধ্যে করোনা টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
দেবাশীষ বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া আমরা এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছি। গত ৫ তারিখ থেকে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা চলছে। এভাবে ৯ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। আজও (বুধবার) হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৭৮ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে, যারা টিমের সঙ্গে বা আশাপাশে থাকবে। তবে আমি এখনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না ঠিক কতজনকে আমরা করোনা টেস্টের আওতায় আনবো। এর জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন।’
ঢাকা পোষ্টকে দেবাশীষ আরও বলেন ‘আমরা শুরুর ধাপে করোনা পরীক্ষা শেষ করার পর আগামী ১০ তারিখ সবাই হোটেলে উঠেবে। এবার যেহেতু আন্তর্জাতিক সিরিজ, আমরা ঝুঁকিটা কম নিব। আমাদের ভাবনা আছে সর্বমোট ৫ থেকে ৬ বার করোনা পরীক্ষা করানো হবে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সেটি পরে বাড়তেও পারে।’
টিআইএস/এটি