বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবদান অসামান্য। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রাজনৈতিক কারণে দেশে নেই সাকিব আল হাসানও। সবমিলিয়ে সিনিয়র তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়া বেশ টালমাটাল অবস্থা টাইগারদের। 

এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার কৌশল বলেছেন শ্রীলঙ্কান কোচ সনাৎ জয়সুরিয়া। সব দলেরই একটা ট্রানজিশন পিরিয়ড যায় দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘সবাইকেই ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। শ্রীলঙ্কাও কয়েক বছর আগে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এটাকে জয় করাটাই জরুরি। তবে সবাইকে সুযোগ এবং আত্মবিশ্বাস দিতে হবে। যদি তাদের চাপ দিতে থাকেন তাহলে তারা চাপেই থেকে যাবে। ফলে নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের যেন আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারেন। যেকোনো দলই এটা উৎরে যেতে পারবে যদি (প্লেয়ারদেরকে) আত্মবিশ্বাস দিতে পারেন এবং বিশ্বাসটা রাখেন।’

প্রথম ওয়ানডেতে ১ উইকেটে দলীয় শতক পেলেও এরপর ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এমন ব্যাটিং ধস নিয়ে জয়সুরিয়া বলেন, ‘এটা শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও (আগে) হয়েছে। যেকোনো দলের সঙ্গেই এমনটা হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত দলের অধিনায়ক, ম্যানেজমেন্ট তাদের আত্মবিশ্বাস দেবে, ততক্ষণ চাপমুক্ত থাকবে তারা। অবশ্যই তারা চাপের মধ্যে পড়বে, এটা সহজ কাজ নয়। ফলে যতক্ষণ বিশ্বাস রাখবেন ততক্ষণ তাদের জন্য সহজ হবে।’

মাঠে এক সময় প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক হয়ে ওঠা সনাৎ জয়সুরিয়া এখন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলকে কোচিং করাচ্ছেন

প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয় ম্যাচও হবে কলম্বো। সেখানকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে লঙ্কান কোচ বলেন, ‘কন্ডিশন ভালো। এখানে গরম অনেক। গ্রাউন্ড উইকেট আউটফিল্ড সবকিছুই দারুণ। অনেক ফাস্ট। আবহাওয়া তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আমি ভেবেছিলাম আমরা (প্রথম ওয়ানডেতে) যদি আরও বেশি কিছু রান করতে পারতাম, তাহলে আরও ভালো হত। শুরুতে আমরা সংগ্রাম করেছি। পরে ২৪৫ রানের টার্গেট দিয়ে তাদের চাপে ফেলেছি।’

আজ (শনিবার) দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামবে। আগের ম্যাচের ভেন্যু কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই হবে ম্যাচটি। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এদিন জয়ের বিকল্প নেই মিরাজ-শান্তদের সামনে। যদিও লঙ্কান ভূমিতে এখন পর্যন্ত ২০ ওয়ানডের মাত্র ২টিতে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড আছে।

এসএইচ/এএইচএস