শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। যদিও ২৪৮ রানে দৌড় থামার পর শঙ্কা ছিল টাইগারদের জয় নিয়ে। তানভীর ইসলামের দুর্দান্ত বোলিং সেটি সম্ভব করেছে। ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। বাঁ-হাতি এই স্পিনার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন। 

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে এদিন তানভীরও সংবাদ সম্মেলনে আসেন। জানান প্রথম ২ ওভারে ২২ রান দিলেও তার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন মিরাজ। সেই ধারাবাহিকতায় লঙ্কান ব্যাটাররা শুরুতে চড়াও হলেও তাকে আক্রমণাত্মক বোলিং চালিয়ে যেতে বলেছিলেন।

তানভীর বলেন, ‘প্রথম দুই ওভারে যখন ২২ রান খাইছি, ক্যাপ্টেন আমার পাশে এসে বলল– “তানভির, বোলাররাই মার খায়, তুই পারবি”। আমি তোকে একটা বিশ্বাস দিলাম, তুই সর্বোচ্চ চেষ্টা কর। তোর ডিফেন্সিভ বোলিংয়ের কোনো প্রয়োজন নাই। তোর উইকেট টেকিং বোলিং করতে হবে। ক্যাপ্টেনের কথামতো চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু হইছে।’

শুরুটা ভালো না হলেও, শেষমেষ বেশ ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তানভীর। প্রথম ২ ওভারে ২২ রান দেওয়া এই স্পিনার পরের ৮ ওভারে দুটি মেডেন নেন। একইসঙ্গে মাত্র ১৭ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট। ওপেনার নিশান মাদুশকা থেকে শুরু করে কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, দুনিথ ভেল্লালাগে ও মহেশ থিকশানাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের পাল্টা আক্রমণের পথ বন্ধ করে দেন তানভীর।

নিজেদের ব্যাটিং শেষেই সবার মাঝে ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলেও জানান তানভীর, ‘প্রথমে আমরা যে রানটা করলাম, ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজমেন্টের যারা ছিল, সবাই বলছিল এই রানটা আমরা ডিফেন্ড করতে পারব। আমাদের সবার ভেতর ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজমেন্ট এত কম রানে জয়ের এই বিশ্বাসটা দিয়েছে, সবারই ধারণা ছিল আমরা পারব।’

এসএইচ/এএইচএস