বাংলাদেশের কাছে হারের ম্যাচে হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে দুই দলের সিরিজ নির্ধারণী লড়াই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকাল লঙ্কানদের হারের ম্যাচে অবশ্য একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ফরম্যাটটিতে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন।
ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ পারভেজ হোসেন ইমনের ৬৭, তাওহীদ হৃদয়ের ৫১ ও তানজিম হাসান সাকিবের ৩৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে ২৪৮ রান তোলে। সেই লক্ষ্য তাড়ায় লঙ্কানদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কক্ষপথে রেখেছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। তিনি ৭৮ রান করে আউট হতেই স্বাগতিকদের অবশিষ্ট আশাও শেষ হয়ে যায়। মাত্র ১৩ রান করে আউট হয়েছেন হাসারাঙ্গা। এর আগে তিনি বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করেন।
বিজ্ঞাপন
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তানভীর ইসলামের বলে সিঙ্গেল রান নিয়েই ওয়ানডেতে এক হাজার রানের মাইলফলক পূর্ণ হয় হাসারাঙ্গার। আর শততম উইকেটের সীমা পেরিয়েছেন আগেই। গতকাল সেই সংখ্যাকে তিনি ১০৬–এ পরিণত করেন। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে ৭০তম অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডেতে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট শিকার করলেন হাসারাঙ্গা। এজন্য তার মাত্র লেগেছে মাত্র ৬৫টি ওয়ানডে। এতদিন ফরম্যাটটিতে দ্রুততম ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি দখলে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি শন পোলকের (৬৮)।
— Sri Lanka Cricket (@OfficialSLC) July 6, 2025
মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা এলিসে পেরি। এজন্য তার মাত্র ৭০টি ওয়ানডে লেগেছে। নারী–পুরুষ উভয় ক্রিকেট মিলিয়ে তার অবস্থান যৌথভাবে চতুর্থ। পুরুষ ক্রিকেটে দ্রুততম এই রেকর্ডে এরপর যথাক্রমে অবস্থান করছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা আবদুল রাজ্জাক (৬৯) ও দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার (৭০)।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট
পুরুষ ক্রিকেট
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) – ৬৫ ম্যাচ
শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ৬৮ ম্যাচ
আবদুল রাজ্জাক (পাকিস্তান) – ৬৯ ম্যাচ
ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ৭০ ম্যাচ
ক্রিস ওকস (ইংল্যান্ড) – ৭২ ম্যাচ
ইরফান পাঠান (ভারত) – ৭২ ম্যাচ
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ৭৪ ম্যাচ
রশিদ খান (আফগানিস্তান) – ৭৪
ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড) – ৭৫
কপিল দেব (ভারত) – ৭৭ ম্যাচ
নারী ক্রিকেট
এলিসে পেরি (অস্ট্রেলিয়া) – ৭০ ম্যাচ
অ্যাশলে গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া) – ৭৫ ম্যাচ
ড্যান ভ্যান নিকার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ৭৫ ম্যাচ
স্টেফানি টেলর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ৭৮ ম্যাচ
এএইচএস