বিবাহবিচ্ছেদের পর আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন ভারতীয় তারকা
ক’দিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তারকা ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং মডেল ধনশ্রী বার্মার বিবাহবিচ্ছেদের খবর। বিচ্ছেদের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ভারতীয় লেগস্পিনার। সেই বিচ্ছেদ পর্বে চাহালের মানসিক স্বাস্থ্যের এতটাই অবনতি হয়েছিল যে তিনি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে চাহাল বলেন, “বিচ্ছেদ কিন্তু একদিনে হয়নি। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বর্হিবিশ্বের থেকে এই ঘটনা লুকিয়ে রেখেছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্বাভাবিক দম্পতির মতো আচরণ করতাম।”
বিজ্ঞাপন
মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়েও মুখ খুলেছেন চাহাল। তার কথায়, “এক মাস ধরে মাত্র দু’ঘণ্টা ঘুমাতাম। এমনকি অনেক বার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছি। ক্রিকেট থেকে আমি বিরতি চেয়েছিলাম। এমনকি মাঠে নেমেও পুরোপুরি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে পারিনি।”
বিজ্ঞাপন
ধনশ্রীর সঙ্গে চাহালের বিচ্ছেদের সময় মানুষজন তার গায়ে প্রতারকের তকমা এঁটে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন চাহাল। তিনি বলেছেন, “যখন আমি বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, লোকে আমার গায়ে প্রতারকের তকমা সেঁটে দিয়েছিল। আমি কারও সঙ্গেই প্রতারণা করিনি। এমনকি হলফ করে বলতে পারি, আমার মতো সৎ, ভদ্র মানুষ খুব কমই রয়েছে। অন্য মহিলার সঙ্গে দেখা গেলেই মানুষ সেই পুরুষের বিচার করে। আমার দুই বোন রয়েছে। তাই আমি জানি, মহিলাদের কীরকম ভাবে সম্মান করতে হয়।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চাহালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ধনশ্রীর। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০২২ সালের জুন থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চাহাল এবং ধনশ্রী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছিলেন। দু’পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিল।
আইন অনুযায়ী, তাদের ছ’মাসের জন্য আলাদা থাকতে হতো। তারপর আবার কোর্টে হাজিরা দিয়ে জানাতে হতো, তারা কী চাইছেন। কিন্তু চাহালদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। যেহেতু তারা গত আড়াই বছর ধরে আলাদা থাকছেন, তাই আরও ছ’মাস আলাদা থাকতে হয়নি তাদের। চাহাল এবং ধনশ্রী, দুই পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার পর ধনশ্রীকে খোরপোশ হিসেবে ৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এফআই