টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও এখনও ওয়ানডেতে খেলছেন ভারতীয় দুই তারকা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের লক্ষ্য ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা। বর্তমানে ফরম্যাটটির আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে আছেন। কিন্তু গতকাল (বুধবার) হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে হঠাৎ–ই উধাও রোহিত-কোহলির নাম। 

এই ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার পর ভুল স্বীকার করেছে আইসিসি। ক্রিকেট অ্যালামানাক–খ্যাত ইংল্যান্ডের উইজডেন ডটকম এ নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। জবাবে আইসিসি জানায়, ‘এই সপ্তাহের র‌্যাঙ্কিংয়ে কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা চলছে।’ পরবর্তীতে আবারও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে রোহিত-কোহলির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, একজন ক্রিকেটার কোনো ফরম্যাটে ৯-১২ মাস না খেললে র‌্যাঙ্কিং থেকে তার নাম সরিয়ে নেওয়া হয়। টেস্টের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ১২-১৫ মাস। এ ছাড়া কোনো ক্রিকেটার যদি একটি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন, তাহলে সেই ফরম্যাটের র‌্যাঙ্কিং থেকেও তার নাম সরিয়ে দেওয়া হয়। ওয়ানডে ফরম্যাটের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গত মার্চে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রোহিত-কোহলি নিয়মে থাকা দুটি বিবেচনায় অনুযায়ীই র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকার কথা।

কারিগরি ত্রুটি সংশোধনের আগে (বক্সে চিহ্নিত) ও পরে ওয়ানডেতে ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিং

৯ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচই এখন পর্যন্ত রোহিত-কোহলির খেলা শেষ ওয়ানডে। এরপর ভারতও আর ফরম্যাটটিতে কোনো ম্যাচ খেলেনি। ফলে পাঁচ মাস অভিজ্ঞ দুই তারকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। এর আগে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরই আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটি থেকে রোহিত-কোহলি অবসরের ঘোষণা দেন। গত মাসে ইংল্যান্ডে হওয়া টেস্ট সিরিজের আগে হঠাৎ করে ফরম্যাটটি থেকে বিদায় নেন কোহলি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত।

চলতি বছরের এখন পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে খেলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাধারীরা টানা ৫ ম্যাচ জিতেছিল। কোহলিও ২০২৫ সালে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন ওয়ানডেতে। র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করার আগে ওয়ানডে ব্যাটারদের তালিকায় রোহিত দুই এবং কোহলি চার নম্বরে অবস্থান করছিলেন। কারিগরি ত্রুটির পর আবারও প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে দুজনের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে।

এএইচএস