আজ (মঙ্গলবার) মিরপুর স্টেডিয়ামে খেলা না থাকলেও দুপুরের পর থেকে স্টেডিয়াম এলাকা ছিল সরগরম। সংবাদকর্মীদের ভিড়। বোর্ড পরিচালকদের নামিদামি গাড়ির ভিড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ভবনের সামনে দাঁড়ানোর জায়গাও ছিল কম। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর আজ বসে বিসিবি সভা। সেখানে একাধিক এজেন্ডার সঙ্গে ছিল জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় তৈরি রাখার বিকল্প ভাবনা।

দশম বোর্ড সভাশেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, জাতীয় দলের আদলে একটি ছায়া দল তৈরি করবে বোর্ড। জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটাররা এখানে অনুশীলন করবে। কখনো বিকল্প লাগলে এখান থেকে জাতীয় দলে ডাকা হবে ক্রিকেটারদের।

সভাশেষে পাপন জানান, ‘কিছুদিন আগে আমরা একটা শ্যাডো ন্যাশনাল টিমের কথা বলেছিলাম আপনাদের। সেটা আজকে বোর্ডে এপ্রুভ হল। ‘বাংলাদেশ টাইগারস’ নামে একটা শ্যাডো ন্যাশনাল টিম আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি।’

সাধারণত জাতীয় দলের ভাবনায় থাকে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। তবে বাংলাদেশের ‘এ’ দল অনেকদিন খেলার বাইরে। সবশেষ ২০১৮ সালে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছে ‘এ’ দল। প্রথম শ্রেণি ও টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০১৯ সালের শুরুতে। এবার ছায়া দল করে সরাসরি জাতীয় দলের বিকল্প ক্রিকেটার প্রস্তুত রাখতে চাইছে বিসিবি।

পাপন জানালেন, ‘এটার ব্যাকগ্রাউন্ড হয়তো আপনারা জানেন তারপরও আরেকবার বলে নিচ্ছি। জাতীয় দলে যারা খেলে তারা যদি কোনো সিরিজে ডাক না পায়, উদাহরণ ধরুন ইমরুল বা সৌম্য দলে ডাক পায়নি, ওরা নাকি তখন প্র্যাকটিস করার সুযোগ পায় না, আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা। ওরা কোথায় প্র্যাকটিস করবে? ওদের কারও যদি কোনো ঘাটতি থাকে কেউ যদি দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে ও শিখবে কোথায়? আমরা ঠিক করেছি, সারা বছর আমাদের এখানে ট্রেনিং চলবে।’

বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের প্রতিটি সদস্য বিদেশি। হাই পারফরম্যান্স বা অনূর্ধ্ব-১৯ দল, সবখানেই বিদেশি কোচিং স্টাফের আধিক্য। তবে ছায়া দলটি গড়া হবে স্থানীয় কোচ দিয়ে।

পাপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে লোকাল কোচিং স্টাফ থাকবে। এক্ষেত্রে হেড কোচের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। এখন যেটা হয়, ধরুন ওপেনিংয়ে একটা খেলোয়াড় নেই। খেলবে না অথবা ইনজুরিতে বা কোনো কারণে নেই, তখন আমরা ট্রায়ালের মতো একেকদিন একেকজনকে ট্রাই করি। আজকে একে করি, কালকে ওকে করি।'

‘আমাদের যদি প্রস্তুতি থাকত, যদি জাতীয় দলে দরকার হয় কে যাবে...। এভাবে এক নম্বর, তিন নম্বর, সাত নম্বর- পজিশন অনুযায়ী কোচ চাহিদার কথা বলে দিবে ঐ অনুযায়ী আমরা খেলোয়াড়দের সারা বছর ট্রেনিং দেব। যাতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে সাথে সাথে বিকল্প হিসেবে চলে যেতে পারে।’

টিআইএস/এমএইচ/জেএস