এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে হারলেই ছিটকে পড়তে হতো টুর্নামেন্ট থেকে। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে লিটন দাসের দল। স্বস্তির এই জয়ের জন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক নাসুম-রিশাদদের বোলিং ও ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। 

ম্যাচ জিতলেও ডেথ ওভারে রান তুলতে না পারার হতাশা প্রকাশ করে লিটন বলেছেন, ‘ম্যাচ জেতাটা অবশ্যই স্বস্তির ছিল, কিন্তু শেষ ৪-৫ ওভারে আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল রান যথেষ্ট ছিল, তবুও মনে হচ্ছিল আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি।’

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ার প্রধান কারিগর ওপেনার তানজিদ তামিম। তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসের পর বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি কার্যকর ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসুম-রিশাদরা। তাদের প্রশংসা করে লিটন বলেন, ‘নাসুম আর রিশাদের বোলিং ছিল অসাধারণ, ওরা সত্যিই নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। আজ তামিম দারুণ ব্যাট করেছে, ওপেনিং জুটিটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ 

অবশ্য এখনও টাইগারদের সুপার ফোরে যাওয়ার স্বপ্ন আটকে আছে সমীকরণের মারপ্যাঁচে। পরের পর্বে যেতে হলে এখন শ্রীলঙ্কার দিকে আছে বাংলাদেশ। লিটন শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করবেন কি না প্রশ্নে জবাব দেন, ‘জানি না, দেখা যাক!’ 

এদিকে, এশিয়া কাপের আগের দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি নাসুম আহমেদ। আফগানদের বিপক্ষে নেমে প্রথম বল হাতেই তার জাদু শুরু। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতেই উঠল। পরে নাসুম জানান, ‘আমি সবসময় নতুন বলে বোলিং করতে ভালোবাসি। যখন অধিনায়ক আমাকে ইনিংসের প্রথম ওভারটি করার জন্য বললেন, আমি খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। নিজের স্পেলের প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে দারুণ খুশি হই।’ 

‘যখন আমি প্রথম বলটি করতে গেলাম, তখন ঘামার কারণে বল ধরতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। আমি দ্রুত মানিয়ে নিই এবং ক্রস সিমে বল করতে শুরু করি’, আরও যোগ করেন নাসুম। 

এসএইচ/এএইচএস