ছক্কার রেকর্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন বৈভব
১৪ বছর বয়সেই একের পর এক রেকর্ড নিজের দখলে নিচ্ছেন বৈভব সূর্যবংশী। ভোরের আলো যেন দিনের বাকিটা সময় কেমন যাবে তারই আভাস দিচ্ছে। কারণ বৈভবের বেশিরভাগ রেকর্ডই বয়সভিত্তিক পর্যায়ের হলেও, সর্বশেষ আইপিএলে তিনি রেকর্ড ভাঙা-গড়ায় টেক্কা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকাদের সঙ্গে। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়লেন তিনি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত সফর কাটিয়ে ভারতীয় যুব দল এবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গেছে। ২১ সেপ্টেম্বর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক অজিদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। আজ (বুধবার) তার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে তিন ফিফটিতে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারী ভারত। তাদের পক্ষে অভিজ্ঞান কুন্ডু সর্বোচ্চ ৭১, বৈভব সূর্যবংশী ও ভিহান মালহোত্রা সমান ৭০ রান করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বৈভব ৬৮ বলে ৭০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায়। এর মধ্য দিয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড হয়ে গেল ১৪ বছর বয়সী এই ভারতীয় ব্যাটারের। মাত্র ১০ ওয়ানডেতে বৈভব ৪১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বৈভব। এতদিন ৩৮ ছয় নিয়ে রেকর্ডটি দখলে ছিল আরেক ভারতীয় উন্মুক্ত চাঁদের। ওই কীর্তি গড়তে ২০১১-১২ সালে তিনি ২১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এই তালিকায় এরপর যথাক্রমে আছেন– বাংলাদেশের জাওয়াদ আবরার (৩৫), পাকিস্তানের শাহজাইব খান (৩১), বাংলাদেশের তাওহীদ হৃদয় (৩০) ও ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল (৩০)।
বিজ্ঞাপন
তবে যুব ওয়ানডেতে এখনও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র দখলে। ৫৮ ম্যাচে তিনি ১৮২০ রান করেছেন। এই তালিকায় এরপর যথাক্রমে আছেন– সামি আসলাম (১৬৯৫), তাওহীদ হৃদয় (১৬২৪), কুইন্টন ডি কক (১৪০৯), বিজয় জোল (১৪০৪), যশস্বী জয়সওয়াল (১৩৮৬), আভিষ্কা ফার্নান্দো (১৩৭৯) ও এনামুল হক বিজয় (১৩২৬)। ছক্কার রেকর্ড গড়া বৈভবও নিশ্চয়ই সর্বোচ্চ রানের নজির ভাঙার পথে ছুটবেন। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে তার রান ৫৪০।
আরও পড়ুন
যুব ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও (৫২ বল) ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছেন বৈভব। এর আগে ৫৩ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তিটি ছিল পাকিস্তানের কামরান গুলামের। এ ছাড়া ১৭০ বছরের যুব ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৩ বছর ১৮৮ দিন) সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন বৈভব। বয়সভিত্তিক টেস্টেও ভারতের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এদিক থেকে তার সামনে আছেন কেবল ইংল্যান্ডের মঈন আলি (৫৬ বল)।
এএইচএস