বিসিবি নির্বাচন নিয়ে মূল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল বিসিবি সভাপতি থাকাবস্থায় আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দেওয়া এক চিঠি নিয়ে। পরে সেই চিঠি ইস্যু গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। মূলত বুলবুল প্রেরিত চিঠিতে অ্যাডহক কমিটি থেকে জেলা বিভাগের কাউন্সিলর নিয়োগের বিষয় নিয়ে নির্দেশনা ছিল। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও এতদিন চুপ ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

আগামীকাল (সোমবার) বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। তার আগে আজ (রোববার) ক্রিকেট বোর্ডের চলমান কমিটির শেষ দিনে এসে ওই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বুলবুল। মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে চিঠির ব্যাপারে বুলবুল বলেন, ‘আমার একটা চিঠির বিরুদ্ধে একটা রিট হয়েছিল এবং সেই রিটটার কারণ ছিল যে, আমি একজন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে কেন চিঠি দিয়েছি।’

এরপর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বুলবুল, ‘সেই চিঠিতে কিন্তু স্পষ্ট বলা ছিল যে, এই নির্বাচনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে। একটা হচ্ছে, জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। এটার সভাপতি সাধারণত জেলা প্রশাসক হয়ে থাকেন। তিনি সই করবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থা যেহেতু নেই এখন, একটা অ্যাডহক কমিটির মধ্যে আছে। কাউন্সিলর হতে হলে অ্যাডহক কমিটির মধ্যে একজন ক্রিকেটার হতে হবে বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সংগঠক হতে হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি এই লিস্টটা পেলাম ইনিশিয়ালি, তখন দেখলাম মাত্র তিনজন কোয়ালিফাই করেছে। এই তিনজনকে নিয়ে তো ইলেকশন করা সম্ভব না। তখন আমি বাধ্য হয়ে চিঠিটা দিয়েছিলাম।’ বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে দীর্ঘ মেয়াদে বা আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বুলবুল। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত বদলে কাউন্সিলর হওয়ার মাধ্যমে তিনি আবারও সভাপতি পদে নির্বাচনের পথে হাঁটছেন।

এই নির্বাচন ঘিরে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক নিয়ে হাজির হয়েছেন ঢাকার ক্রীড়া সংগঠকদের বড় একটি অংশ। তবে সবকিছু সংবিধান মেনেই করা হয়েছে বলে জানালেন বুলবুল, ‘ইলেকশন তো ইলেকশনই। আমাদের কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে আমি প্রতিনিধিত্ব বা নির্বাচন করছি। আমার একটা রোল ছিল সেখানে। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের যে সংবিধান আছে, সেটির মধ্যে থেকেই আমরা সব করেছি।’ 

এসএইচ/এএইচএস