বিসিবি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট কিছুটা শঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। কেননা বেশ কিছু ক্লাব বিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে ঘরোয়া লিগ বর্জন করেছিল। তাই লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে সেই শঙ্কা দূর হয়েছে, কেটে গেছে সব অনিশ্চয়তা। 

আগামী মাসে (নভেম্বর) শুরু হবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের নতুন মৌসুম। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে এবারের মৌসুম হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন। দায়িত্ব গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার জন্য এই লিগ আয়োজন। 

মিরপুর শেরে-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বুধবার সিসিডিএমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সফল বৈঠকের পর পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে দিপন বলেন, 'আজ আমরা প্রথম বিভাগের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রায় সব ক্লাবই উপস্থিত ছিল, এবং কেউই বলেনি যে তারা খেলবে না।'

'সবাই এই মৌসুমে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদিও সময়সূচি নিয়ে সামান্য কিছু মতপার্থক্য ছিল। ভালো খবর হলো, সবাই খেলতে আগ্রহী, আর আমরা খুব শিগগিরই লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করব।'

প্রয়োজনে একসঙ্গে কয়েক বিভাগের খেলা পরিচালনার পরিকল্পনাও আছে সিসিডিএমের, 'প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ- তিনটি লিগই একসঙ্গে চলবে। এখনই প্রিমিয়ার বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ বিপিএল, জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও জাতীয় ক্রিকেট লিগের কারণে সূচিতে সংঘাত হবে। আমরা চেষ্টা করব সূচির কোনো ফাঁকে প্রিমিয়ার লিগ করতে।'

প্রথম বিভাগ আগে শুরু করার কারণ জানিয়ে দিপন বলেন, 'প্রিমিয়ার ডিভিশনে যদি কেউ খেলতে না পারে, সে প্রথম বিভাগে খেলতে পারে। প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ পরের বছর প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। প্রথম বিভাগে বেটার উইকেট দেয়াটা আমাদের লক্ষ্য। কারণ, মৌসুমের শুরুতে উইকেট ভাল থাকে। আমাদের সময়টা অনেক কম। এপ্রিল মাসের মধ্যে সবগুলো লিগ সম্পন্ন করতে চাই। আগামী বছর কবে কোন লিগ শুরু করব, তা আগেভাগে জানিয়ে দেব।'

ভেন্যু নিয়ে তিনি বলেন, 'প্রথম বিভাগের জন্য ৫টা মাঠ দরকার। আমরা ৭টি পেয়ে গেছি। বসুন্ধরায় এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হবে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের সিলিকন, পিকেএসপির এক ও দুই নম্বর গ্রাউন্ড এবং কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার মাঠ পাচ্ছি। এনএসসিএলের কারণে বিকেএসপির মাঠ দুটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।'

এসএইচ/এইচজেএস