রেলিগেশন পর্বে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে জিততে হলে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সর্বোচ্চ রান টপকাতে হতো পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। সে লক্ষ্যের দিকে বেশ ভালোভাবেই ছুটছিল দলটি। পারটেক্সের হয়ে ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার হাসানুজ্জামান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। আগেই প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন নিশ্চিত হওয়া দলটি আজ (সোমবার) ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে হেরেছে ২৩ রানে ব্যবধানে।

চলতি ডিপিএলে এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল আবাহনী লিমিটেডের। গত ২০ জুন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৯৩ রান করেছিল তারা। আজ বিকেএসপিতে পারটেক্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৯৯ রান তোলে ওল্ড ডিওএইচএস। ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওল্ড ডিওএইচএসের দুই অপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ। ৬ ওভার ২ বল থেকে ৬০ রান আসে তাদের পার্টনারশিপ থেকে। ইমন ৩৪ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

দলীয় ৮ রান পরেই ব্যক্তিগত ৫ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর দলের হাল ধরেন রাকিন, সঙ্গে যেন দেন অধিনায়ক মোহাইমিনুল হক। তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে দুজনই ফিফটির স্বাদ পান। মোহাইমিনুল ৩৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। রাকিন খেলেন হার না মানা ৯২ রানের ইনিংস। ৫৮ বলের ইনিংসটি সাজান ১১টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। এতে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব।

২০০ রানের পাহাড়সময় টার্গেট টপকাতে নেমে ওল্ড ডিওএইচএসের বোলার আব্দুর রশিদের বোলিং তোপে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সায়েম আলম ও জনি তালুকদারের উইকেট হারিয়ে বসে পারটেক্স। এদিন রানেই খাতা খুলতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। এরপর প্রতিরোধ গড়েন হাসানুজ্জামান ও আব্বাস মুসা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন দুজন। আব্বাস মুসা ৩১ রান করে আউট হলে আর কোনও ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পারেননি। 

পরে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান হাসানুজ্জামন। ৪৮ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসানুজ্জামন ১০৫ রানে করে আউট হলে ১৭৬ রানে থামে পারটেক্সের ইনিংস। এতে ২৩ রানে জয় পায় ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব।

টিআইএস/এটি