গত বিপিএলের রানার্সআপ দল এবার না থাকার কারণ জানাল বিসিবি
সবশেষ বিপিএলে ফাইনাল খেলেছিল চিটাগং কিংস। তবে আসন্ন ১২তম বিপিএলে আর দেখা যাবে না দলটিকে। এমনকি আগামী পাঁচ মৌসুমেও দেখা যাবে না চিটাগং কিংসকে! এদিকে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়ার দৌড়ে আছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড। তবে গেল আসরের রানার্সআপ ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংসকে না রাখার ব্যাখা দিয়েছে বিসিবি।
বিপিএলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালেটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম ১১টি ইওআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়ায় শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ, বাংলা মার্ক লিমিটেড, মাইন্ড ট্রি ও রূপসী কনক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়াম।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে কিংসের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বিসিবির আইনজীবী ব্যারিষ্টার মাহিন রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাদের (চিটাগং কিংস) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। উনি যে অর্ডার নিয়েছেন কোর্ট থেকে, আমরা কিন্তু ওইটা গ্রহণ করিনি। আমরা কিন্তু আপিল করেছিলাম এবং আপিল করে আমরা সেটার উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য যত আইনি প্রক্রিয়া কোনটাই আমরা বাদ রাখছি না। আমরা কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে খেললেও দুই আসরের পাওনা পরিশোধ করেনি চিটাগং কিংস। সবশেষ আসরেও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও দলের অন্যান্য সদস্যদের পারিশ্রমিক দেয়নি তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার পান হেড কোচ শন টেইট। টাকা পাননি মেন্টর শহীদ আফ্রিদি, উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরও। এ ছাড়া ঢাকার শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ ও সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল তাদের ১৭ লাখ টাকা বকেয়া আছে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে—শন টেইট তাদের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার পায়, রোজ ভিউ হোটেল সিলেট তারা প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্লেইম করেছে, শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ টাকা পায়। আপনারাও জানেন অনেক ক্রিকেটার কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে বলছে তারা টাকা পায়নি। এর আগে শহীদ আফ্রিদিও ক্লেইম করেছিল, ইয়াশা সাগরও অভিযোগ করেছিল। সাথে আমাদের আগের আসরেও বিবাদ আছে, আর্বিটেশনে চলছে। এটা চিটাগং কিংসের পরিস্থিতি।’
এসএইচ/এইচজেএস