শেষ বলে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ রান। অবিশ্বাস্য ভাবে তিন রান সিঙ্গেলসে নিয়ে নিশ্চিত বাংলাদেশের জয়ের ম্যাচ কার্যত ছিনিয়ে নিলো ভারত। ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। 

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত ‘এ’ দল। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে হাবিবুর রহমানের হাফ সেঞ্চুরি ও মেহেরব হোসেনের শেষের ক্যামিওতে ভর করে ভারতকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় ভারতও ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। ফলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়।

শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। বোলিংয়ে ছিলেন রাকিবুল। প্রথম দুই বলে মাত্র দুই রান খরচ করেন। যদিও পরের দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন। চার বল শেষে ভারতের আরও নাগালে চলে আসে ম্যাচ। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল মোটে ৪ রান। এমন সময় দারুণ ব্রেকথ্রুতে ম্যাচ জমিয়ে দেন রাকিবুল। উড়ে যায় থিতু হয়ে যাওয়া আশুতোষের উইকেট। 

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ তখন আবারও বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ে। যদিও শেষ বলের নাটকীয়তার তখনো বাকি। হার্ষ দুবে অফ–স্টাম্পের বাইরে ইয়র্কার লেন্থের বল সরাসরি লং অনে খেললেন। ব্যাটাররা প্রথম রান নেওয়ার পরই দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটলেন। থ্রোটা ছিল কিপার আকবর আলীর দিকে, তিনি বল সংগ্রহ করেও স্টাম্পে আঘাত করতে পারলেন না। বাংলাদেশের এমন বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে ভারতীয় ব্যাটাররা তৃতীয় রানটাও নিয়ে নিলেন। যার পরিণতি দাঁড়ায় সুপার ওভার।  

এর আগে ১৯৫ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫৩ রান তোলে ভারত। ভৈবভ সূর্যবংশী আউট হন ১৫ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে। আরেক ওপেনার প্রিয়াংশ আরিয়া ২৩ বলে ৪৪ রান করেন। যদিও ব্যর্থ হয়েছেন নামান ধীর। তিনি ১২ বলে ৭ রান করে ফিরে যান। অধিনায়ক জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৩ রান।

পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন নেহাল ওয়াদহেরা ও রামানদীপ সিং। তারা পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৬ রান। শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৯ রান। আর হাতে ৪ উইকেট। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন আব্দুল গাফফার। সেই ওভার থেকে আসে ১০ রান। ১৯তম ওভারে বল হাতে তুলে নেন রিপন মন্ডল। তখন ১২ বলে ২১ রানের সমীকরণের সামনে। দ্বিতীয় বলেই নেহাল ওয়াদহেরার ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক আকবর আলী।

এর আগে কাতারের দোহায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও জিসান আলমও। তাদের ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারেই আসে ৪৩ রান। এরপর জিসান আউট হয়েছেন ১৪ বলে ২৬ রান করে। এরপর দ্রুত আরও বেশ কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন সোহান। তিনি ৪৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়ে যান।

তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি জাওয়াদ আবরার, আকবর আলী ও আবু হায়দার রনিও। ব্যর্থ হয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান দুইশোর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন মেহেরব ও ইয়াসির রাব্বি। 

এফআই