আশরাফুলদের শেষটা ভালো হলো না, জয়ে রাঙাল মাহমুদউল্লাহরা
টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়ে গেছে আগেই। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি হয়ে পড়ে নিয়মরক্ষার। এ ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়ান গাজী গ্রুপের হয়ে খেলা বাংলাদেশ টেস্ট দলের দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলী রাব্বি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদেরও ব্যাটিংয়ের ধরণও ছিল মানানসই।
প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটসম্যানের জ্বলে ওঠার দিনে পারলেন না ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহানরা। শেখ জামালের আগের ম্যাচের নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলও এ ম্যাচে ব্যর্থ। এতে গাজী গ্রুপের ১৮৫ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ১৪৯ রানে থামে ধানমন্ডির জায়ান্টদের ইনিংস। এতে ৩৫ রানে ম্যাচ জিতে শেখ জামালকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে থেকে লিগ শেষ করে গাজী গ্রুপ।
বিজ্ঞাপন
ইয়াসির আলী রাব্বি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও এখনো অভিষেক ক্যাপ মাথায় তুলতে পারেননি। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের টেস্ট স্কোয়াডেও আছেন তিনি। তাকে মূলত সাদা পোশাকের ভাবনাতেই রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে রঙিন পোশাকেও যে মন্দ খেলেন না, শনিবার সুযোগ বুঝে সেটি জানান দিলেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার।
টুর্নামেন্ট জুড়ে নিষ্প্রভ থাকা রাব্বি শেষ ম্যাচে পেলেন প্রথম অর্ধশতকের দেখা। এর আগে ফিফটির খুব কাছে গিয়ে থামেন ৪৭ ও ৪৫ রানে। মিরপুরে আজ ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে মাত্র ২২ বলে তুলে নেন ফিফটি। সব মিলিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল সমান ৪টি করে চার ও ছয়ের মারে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। জাতীয় দলে রঙিন পোশাকে বিবেচনায় নেই তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা পোশাকের পাশাপাশি সাদা বলেও নিয়মিত পারফর্ম করেন। এবারের ডিপিএলেও তার ছাপ স্পষ্ট। আজ শেখ জামালের বিপক্ষেও হেসেছে তার ব্যাট। ৫৩ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৭৮ রান করেন মুমিনুল। যদিও তার টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ ৯১ রান।
এই দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ওপেনার শেখ মেহেদী হাসানের ২৭ রানের ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৮৪ রানের বিশাল পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
১৮৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আশরাফুল। আগের ম্যাচে আবাহনী বিপক্ষে বিরচিত এক ইনিংস খেলে দলকে জেতালেও আজ ফিরেছেন ১৫ রান করে। সৈকত আলী, নাসির হোসেন, সোহানরা কেউই থিতু হতে পারেননি গাজীর বোলারদের বিপক্ষে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ইমরুল কায়েস। পরে তিনিও ফেরেন ৩৩ বলে ৪৫ রান করে।
এরপর তানবীর হায়দার (২৯) ও জিয়াউর রহমান (২১) চেষ্টা চালালেও সুবিধা করতে পারেননি। বাকিরাও ব্যর্থ হলে ১৪৯ রানে থামে শেখ জামালের ইনিংস। এতে ৩৫ রানে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
টিআইএস/ওএফ