জিম্বাবুয়ে সিরিজ সহজ হবে না, বলছেন আফতাব
আফতাব আহমেদ/ফাইল ছবি
পূর্ণঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। আফ্রিকা এই দেশটিতে প্রায় ৮ বছর পর সফর করল টাইগাররা। সবশেষ গিয়েছিল ২০১৩ সালে। সেই সফরে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার অবশ্য পরিষ্কার ফেভারিট সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা। তবুও সফরটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার আফতাব আহমেদ।
২০১৩ সালে শেষ যেবার জিম্বাবুয়ে সফর করে বাংলাদেশ। সেবার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ করলেও একদিনের ক্রিকেটে স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি সফরকারীরা। সিরিজ হারতে হয় ১-২ ব্যবধানে। ৮ বছর পর এবারও পূর্ণঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে গেছে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরু হবে একমাত্র টেস্ট দিয়ে। যেটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল বুধবার (৭ জুলাই)।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে আফতাব আহমেদ বলেন, ‘জিম্বাবুয়েকে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা যতটা সহজ ভাবছি, ততটা সহজ হবে না। ওদের মাটিতে শেষ কয়েক সিরিজ ওরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। ওদের উইকেট, ওদের আবহাওয়া অনুযায়ী ওরা বেশ শক্তিশালী। সবে মিলিয়ে অনেক বছর ধরেই ওরে ক্রিকেটটা খুব ভালো খেলছিল না, কিন্তু শেষ কয়েকটা সিরিজে দেখবেন দৃশ্যপট একেবারেই ভিন্ন। ওই হিসেবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে বলে আমি মনে করছি।’
সম্প্রতি ঘরে মাঠে ভিন্ন এক জিম্বাবুয়েকে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল সেখানে গিয়ে সিরিজ জিতে আসলেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলেও রঙিন পোশাকের দুই ফরম্যাটে ছেড়ে কথা বলেনি জিম্বাবুয়ে। সে কথা মনে করিয়ে দিলেন আফতাব। সঙ্গে জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১ ম্যাচে নামিয়ে আনার পক্ষে নন তিনি। সফরের শুরুতেই টেস্ট সিরিজ হওয়ায় শঙ্কা আছে ভালো ফল নিয়েও।
বিজ্ঞাপন
আফতাবের ব্যাখ্যা, ‘এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ না হলেও দুটি টেস্ট খেলা উচিৎ ছিল আমাদের। আমাদের বেশি বেশি টেস্ট খেলা প্রয়োজন। দেখেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমাদের লঙ্গার ভার্সনে দুটি টুর্নামেন্ট আছে, তবে এই দুই টুর্নামেন্ট মিলিয়েও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না। আর এখন তো করোনার কারণে সেই দুই টুর্নামেন্টও নিয়মিত হয় না।’
সম্প্রতি ঘরে মাঠে ভিন্ন এক জিম্বাবুয়েকে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল সেখানে গিয়ে সিরিজ জিতে আসলেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলেও রঙিন পোশাকের দুই ফরম্যাটে ছেড়ে কথা বলেনি জিম্বাবুয়ে। সে কথা মনে করিয়ে দিলেন আফতাব। সঙ্গে জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১ ম্যাচে নামিয়ে আনার পক্ষে নন তিনি। সফরের শুরুতেই টেস্ট সিরিজ হওয়ায় শঙ্কা আছে ভালো ফল নিয়েও।
সঙ্গে যোগ করেন আফতাব, ‘আমার মনে হয় একটা টেস্ট হওয়ায় একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। সফরের শুরুতেই টেস্ট ম্যাচ। আমাদের কিন্তু টেস্টের জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। সেখানে মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন ব্যাপার হবে। সেখানে মাত্র একটি টেস্টে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল। আসলে রেজাল্ট কি হবে এটি বলা মুশকিল।’
জিম্বাবুয়ে সফরে পূর্ণ শক্তির স্কোয়াড দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। করোনাভাইরাসের মধ্যে খেলোয়াড়রা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে হাঁপিয়ে উঠলেও ভালো ফল পক্ষে আনতে ঝুঁকি নেয়নি বোর্ড। যদিও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্টে চোট আক্রান্ত তামিমকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে। সে জায়গায় সুযোগ পাবেন তরুণ কোনও ক্রিকেটার।
আফতাব অবশ্য এটিকে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। সম্প্রতি লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল হোসেন শান্তদের পারফরম্যান্স সুখকর নয়। এমনকি দল থেকেও বাদ পড়তে হয় তাদের। এবার জিম্বাবুয়ে সফরে তাদের যোগ্যতা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন আফতাব আহমেদ।
আফতাবের ভাষায়, ‘জিম্বাবুয়েতে কিন্তু এবার তরুণদের জন্য বেশ ভালো একটা সুযোগ। এদেরকে নিয়ে কয়েক বছর ধরে কথা হচ্ছে। এখন তাদের পারফর্ম করার সময়টা চলে এসেছে। আপনি বাস্তবতা দেখেন, সাকিব তামিম, মুশফিক এরা আর কতদিন ক্রিকেট খেলবে? বড়জোর চার থেকে পাঁচ বছর! এখন সময় এসেছে সৌম্য, লিটন, শান্ত এদের পারফর্ম করা। জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি বলব এই সফরটা তাদের জন্য আবার দলে জায়গা শক্ত করার একটা ভালো সুযোগ।’
টিআইএস/এটি