প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে পেলেই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। টেস্টে যেন আরও চওড়া হয় তার ব্যাট। এই ফরম্যাটে ৬টি সেঞ্চুরি আছে টেলরের, তার পাঁচটিই পেয়েছেন টাইগারদের বিপক্ষে। গড়টাও ৬০ এর মতো। টেস্টে তার অর্ধেক রানই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। 

চলমান সিরিজের একমাত্র টেস্টেও সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন টেলর। তবে এ যাত্রায় তাকে থামাতে পেরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়েছেন ৮১ রানে। হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে এটিই প্রথম এবং একমাত্র সাফল্য সফরকারীদের। টেলর আউট হলেও আটকানো যাচ্ছে না তাকুজওয়ানাশে কাইতানোকে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।

এই সেশনের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০৯ রান জমা করেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ থেকে এখনো পিছিয়ে ২৫৯ রানে। কাইতানোর সঙ্গে ২১ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডিওন মেয়ার্স।

ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি বাংলাদেশকে ৪৬৮ রানে অলআউট করে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ১ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা। আজ তৃতীয় দিনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেলর ও কাইতানো। 

টাইগার বোলারদের শাসন করে অর্ধশতক তুলে নেন দুজনই। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে শতকের দিকে ছুটতে থাকেন টেলর। তবে পানি পানের বিরতির পর টাইগার শিবিরে স্বস্তির উপলক্ষ এনে দেন মিরাজ। ফেরান ৮১ রানে থাকা টেলরকে।

ইনিংসের ৫৭তম ওভারে মিরাজের করা কুইকার ডেলিভারিটি মিডল আর লেগ স্টাম্প পড়ে সোজা যাচ্ছিল। হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া বলটি দেখে বাউন্ডারির হাকানোর ভূত চেপে বসে টেলরের মাথায়। উড়িয়ে মারতে যান তিনি। তবে ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ করাতে পারেননি। ধরা পড়েন স্কয়ার লেগ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে। এতে দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙে ১১৫ রানের জুুটি।

এরপর এই সেশনে দলকে আর কোনও বিপদে পড়তে দেননি কাইতানো। নতুন ব্যাটসম্যান মেয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ২ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রানে বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

টিআইএস/এমএইচ