স্টার্ক-রাসেলের লড়াইয়ে জিতে হাসিমুখ অজিদের
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: ১৮৯/৬ (ফিঞ্চ ৫৩, মার্শ ৭৫, ক্রিস্টিয়ান ২২*, স্টার্ক ৮*; টমাস ৩১-১, রাসেল ২৫-১, অ্যালেন ৩১-১, ওয়ালশ ২৭-৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮৫/৬ (সিমন্স ৭৪, লুইস ৩১, পুরান ১৬, রাসেল ২৪*, অ্যালেন ২৯; স্টার্ক ৩৭-০, মেরেডিথ ৫৭-১, জ্যাম্পা ২০-২, মিচেল মার্শ ২৪-৩)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: মিচেল মার্শ।
সিরিজ থেকে অজিরা ছিটকে গেছে অনেক আগেই। তবু নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে অজিদের লড়াই এখন মানরক্ষার। সেই লড়াইয়েও হারতে বসেছিল তারা। ১৯তম ওভারে ২৫ এর পর শেষ ওভারে তাদের হাতে ছিল মোটে দশ রানের পুঁজি, মিচেল স্টার্কের মুখোমুখি ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। সেই রাসেলকেই কিনা, শেষ ওভারে ১০ রান নিতে দেননি স্টার্ক। ফলে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এসে জয়ের খাতা খোলে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় চতুর্থ টি-টোয়েন্টির শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েডকে হারালেও মিচেল মার্শের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অজিরা পঞ্চাশ ছোঁয় মাত্র ৪.১ ওভারেই।
বিজ্ঞাপন
মার্শ অর্ধশতক স্পর্শ করেন মাত্র ২৪ বলে। অপরদিকে ফিঞ্চও এদিন ফেরেন ছন্দে, অর্ধশতক ছুঁয়ে ফেলেন ৩৪ বলে। দু’জনের দশ ওভার দীর্ঘ জুটিতে অজিদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১১৪ রান। ফিঞ্চের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি, ক্যারিবীয় লেগি হেইডেন ওয়ালশকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
এর কিছু পর অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল মার্শ ফেরেন সাজঘরে। ১১ ওভার শেষে যেখানে দলের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১২৪, সেখান থেকে দল পরের ৯ ওভারে তোলে মাত্র ৬৫ রান। তাও আবার শেষদিকে ড্যান ক্রিস্টিয়ানের ১৪ বলে ২২ রানের ক্যামিও না হলে হয় না! অজিদের ইনিংস তাই শেষ হয় ১৮৯ রানে।
জবাবে প্রথম পাঁচ ওভারে ওভারপ্রতি ১২এরও বেশি রান তুলে উইন্ডিজ জবাবটা দিচ্ছিল ভালোই। ১৪ বলে ৩১ রান করা এভিন লুইসকে যখন ফেরান অ্যাডাম জ্যাম্পা, তখন ক্যারিবীয়দের স্কোরবোর্ডে রান ৬২, ওভার গিয়েছে মোটে পাঁচটা!
বিজ্ঞাপন
এরপরই যেন ছন্দপতন। আগের ম্যাচের নায়ক ক্রিস গেইল, আর চারে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচার ব্যর্থ হন এ দিন। লেন্ডল সিমন্স অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন। ২৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে একটু ধীরগতির হয়ে পড়েছিলেন। তবে তার পরও ৪৮ বলে ৭২ রান করে থামতে হয় তাকে। তার ঠিক আগেই ফিরেছিলেন নিকলাস পুরান। ফলে ম্যাচের পেন্ডুলাম হেলে পড়েছিল অজিদের দিকেই।
তবে এরপরই ফ্যাবিয়ান অ্যালেন আর আন্দ্রে রাসেলের ঝড়। তাতে শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়েছিল ৩৬ রান। রাইলি মেরেডিথের এক ওভারেই উইন্ডিজ তুলে ফেলেছিল ২৫ রান! তবে শেষ বলে অ্যালেনের উইকেটেই বাঁধে বিপত্তিটা।
কারণ শেষ ওভারে প্রথম চার বলেই রাসেল পেয়েছিলেন সিঙ্গেলের সুযোগ। কিন্তু রান নেননি একটি বলেও। অপর প্রান্তে থাকা হেইডেন ওয়ালশ যদি নষ্ট করতেন বল! সেটা হয়তো অ্যালেন থাকলে হতোই না, উইন্ডিজরা তুলে নিতে পারত নিজেদের চতুর্থ জয়।
কিন্তু সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাসেলের এই ব্যর্থতা। ক্রমাগত লেন্থ বদলে ইয়র্কার ও ফুল লেংথে বল ফেলছিলেন স্টার্ক। তাতে সিঙ্গেল না নিয়ে বড় শটের অপেক্ষায় ছিলেন রাসেল। পঞ্চম বলে পেয়েও যান, কিন্তু সেই ফুল টসটা কাজেই লাগাতে পারেননি তিনি। শেষ বলে ছক্কা মেরেছেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে অজিরা চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে ৪ রানের এই জয় নিয়ে অজিরা সিরিজে জয়ের খাতাও খুলে ফেলে।
এনইউ/এটি