ছবি : সংগৃহীত

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। টাইগারদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডের পর ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। এই সিরিজে স্বাগতিকদের স্পষ্ট ফেভারিট মানছেন উইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তবে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় ক্রিকেট। তবে ইংল্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে সবার আগে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে ক্যারিবীয়রা। এরপর নিউজিল্যান্ড সফর করেছে তারা। ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে একাধিক উইন্ডিজ ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মাতিয়েছেন। 

এদিকে উল্টো চিত্র বাংলাদেশ দলের। দুইটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি টাইগারদের। আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ থেকে বঞ্চিত প্রায় ১০ মাস। তবুও বাংলাদেশকেই ফেভারিট মেনে সিরিজ শুরু করবে উইন্ডিজ। মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এমনটাই জানান ক্যারিবীয় হেড কোচ ফিল সিমন্স।

যেখানে সিমন্স বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্ট ফেভারিট। কারণ, তারা ঘরের মাঠে ভালো খেলে। আমরা এটির সাথে দ্বিমত করতে পারি না।’

তবে বাইশ গজে লড়াইয়ের ইঙ্গিতে দিয়ে রাখলেন তিনি, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ জয়ের উদ্দেশেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ছেড়েছি। আপনারা হয়তো বলছেন, আমাদের পুরো দল নেই। কিন্তু আমাদের এমন একটি দল আছে যারা এই কন্ডিশনে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত।’

তিনি আরও বলেন ‘যেকোনো সিরিজ খেলার আগে উদ্দেশ্য থাকে সিরিজ জয়ের। প্রতিটি দল তাদের ঘরের মাঠে ভালো খেলে। সেদিক থেকে কাজটা সহজ হবে না। তবে প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সিরিজ জয় করা। দ্বিতীয়ত, আমাদের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নেই, তাহলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভালো করার সুযোগ থাকবে।’

উপমহাদেশ বাইরে দেশগুলো বাংলাদেশে খেলতে এসে টাইগার স্পিনারদের সামনে রীতিমতো খেই হারিয়ে ফেলে। এজন্য বড় ভূমিকা রাখে বাংলাদেশের স্পিন সহায়ক উইকেট। এবার খেলতে এসে উইকেটের আচরণ কেমন প্রত্যাশা করছে সফরকারীরা?

এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স জানান, ‘আমি এখানে ভিন্ন দল নিয়ে এর আগেও এসেছি। আমরা এখানে ভালো ওয়ানডে উইকেট পেয়েছিলাম। আমরা এই সিরিজেও ভালো উইকেট আশা করছি।’

করোনার কারণে এবার মূল দলের একাধিক খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না উইন্ডিজ। জেসন হোল্ডার, কাইরন পোলার্ডরা বাংলাদেশ সফরকে না করে দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশে শিবির আছে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা অভিজ্ঞতার বিচারে বেশ এগিয়ে। সেদিন দিয়ে সিরিজের আগেই সফরকারীরা একটু পিছিয়ে গেল কি?

সিমন্সের সোজাসুজি জবাব, ‘অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসাহ এবং জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে। আমাদেরও কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে।’

টিআইএস/এমএইচ