বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রভাব ফেলবে উইকেট
উপমহাদেশের উইকেটগুলো সাধারণত স্লো আর স্পিন সহায়ক। এজন্য ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো খুব বেশি সুবিধা করতে পারে না। স্পিনের ফাদে ফেলেই ২০১৭ সালে অজিদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল টাইগাররা। চার বছর বাদে আবার বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। এক সময়ের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, সিরিজ জিততে হলে স্পিন বিষেই নীল করতে হবে সফরকারীদের।
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় উইকেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি স্লো এবং স্পিনিং উইকেট হয়, তাহলে বেশ ভালো সুযোগ থাকবে। আর যদি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হয়, তাহলে আবার আমাদের সুযোগ কম থাকবে।’
বিজ্ঞাপন
জিম্বাবুয়ে সফরের আগে শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সবগুলো ম্যাচ হয়েছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখানকার উইকেটের চরিত্র সম্পর্ক বেশ ভালোভাবেই জানা স্বাগতিক ক্রিকেটারদের। একই উইকেটে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সবগুলো ম্যাচ খেলানো গেলে অজিদের বিপক্ষে প্রথমবার কোনও ফরম্যাটে সিরিজ জেতার সম্ভাবনা দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিবায়ক।
আশরাফুল জানালেন, ‘যদিও অস্ট্রেলিয়া দলে বেশ কয়েকজন ভালো মানের স্পিনার আছে, তবে আমাদের স্পিনাররা ওদের থেকে এগিয়ে। আমার মনে হয়, ডিপিএলে আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলেছি, ওই উইকেট রাখতে পারলে ভালো হবে। আমরা কিন্তু এমন উইকেটে খেলেই অভ্যস্ত।’
বিজ্ঞাপন
উইকেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্স যে ঠিক রাখতে হবে সেটিও মনে করিয়ে দিলেন আশরাফুল, ‘ঘরের মাঠে হলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সহজ হবে না আমাদের জন্য। বেশ কঠিন হবে। যদিও কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে এসেছে। তবে এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়েতে আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি, এমন হলে ফল ভালো হবে না।’
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে চলে আসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের মাঠের লড়াই শুরু হবে আগামী ৩ আগস্ট প্রথম ম্যাচ দিয়ে। ইনজুরি আর সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে না পারার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে স্বাগতিক শিবিরে নাম নেই তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের। তাদের অনুপস্থিতি বাকিদের জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন আশরাফুল।
তিনি বলেন, ‘তামিম, মুশফিক, লিটন না থাকায় যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের জন্য খুব ভালো সুযোগ। সৌম্য ফর্মে আছে, নাঈমও জিম্বাবুয়েতে এক ম্যাচ ভালো খেলছে। তো সিনিয়র ক্রিকেটার কয়েকজন না থাকায় খুব বেশি সমস্যা হবে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। যারা খেলবে তারাও পরীক্ষিত। তারা যদি নিজেদের খেলাটা খেলে আসতে পারে, তাহলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।’
আগামী ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের খেলবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারি অস্ট্রেলিয়া। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
টিআইএস/এমএইচ