সেই ‘কঠোর নিয়ম’ মেনেই ব্রিসবেনে ভারত
ছবি: সংগৃহীত
‘কঠোর নিয়ম মানতে হলে ব্রিসবেন যাবে না ভারত’-এমন সব উক্তি সিডনি টেস্টের আগেই ফিরে ফিরে এসেছিল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে শেষমেশ ‘কঠোর নিয়ম’ মেনেই কুইন্সল্যান্ডে পা রেখেছেন অজিঙ্কা রাহানেরা। যেখানকার নিয়ম এমনই কঠোর যে রীতিমতো নিজের হোটেল রুমটাও নিজেরই গোছাতে হবে খেলোয়াড়দের!
পুরো অস্ট্রেলিয়াতে মানুষজন উপভোগ করছে অবাধ স্বাধীনতা। স্বাভাবিক জীবন উপভোগে বাঁধা নেই কোথাও। সেখানে বিদেশীদের ক্ষেত্রে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া সরকার বেশ কঠোর। মানতে হবে কঠোর নিয়ম!
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় বোর্ড চটেছিল এখানেই। একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ ধরনের ‘বৈষম্যমূলক নিয়ম’ থাকলে ব্রিসবেনে আসবে না দল। অজিঙ্কা রাহানেদের সায়ও ছিল তাতে।
এরপর দুই বোর্ডের কয়েকদফা দরকষাকষির পর শেষমেশ দুই বোর্ড সম্মত হয়েছে এক বিন্দুতে এসে। যেখানে ভারতকে কঠোর কোয়ারেন্টিন না মানতে হলেও হোটেল আর মাঠ ছাড়া অন্য কোথাও যেতে দেয়া হবে না। শুরুতে নিয়মটা ছিল, হোটেলে নিজ কক্ষ ছাড়া অন্যত্র যাওয়া চলবে না দলটির।
বিজ্ঞাপন
দর কষাকষির পর সেটা একটু শিথিল হয়েছে, এখন হোটেলে নিজেদের ফ্লোরে অন্তত ঘোরাফেরার সুযোগটা পাচ্ছেন রোহিত শর্মারা, টিম রুমে গণজমায়েতের সুযোগও দেয়া হয়েছে দলকে।
সেই নিয়ম মেনেই ব্রিসবেনে পা রেখেছে দল। তাতে নতুন ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে এবার। হোটেলে হাউসকিপিং সুবিধা দেয়া হয়নি দলটিকে। ভারতের একাধিক খেলোয়াড় জানিয়েছেন হোটেলে নিজের কাজ নিজে করতে হবে, এ বিষয়ে কোনো ধারণাই দেয়া হয়নি দলকে। সিডনিতেও রুমের বাইরে চলাফেরায় বিধিনিষেধ ছিল ভারতের উপর, কিন্তু সেখানে অন্তত রুম সার্ভিসটা দেয়া হয়েছিল দলকে!
এমনকি পুলের ব্যবহারটাও করতে দেয়া হচ্ছে না রোহিতদের। বিধিনিষেধের শেষ নয় এখানেই। ভারতকে নিয়ে তোলা হয়েছে এমন এক হোটেলে, যেখানে নিজেদের খাবার তৈরির ব্যবস্থা নেই! যদিও কর্তৃপক্ষ এই সিরিজের জন্য আলাদা ক্যাটেরিং সার্ভিস ভাড়া করে এনেছে। এখানেও আছে বিপত্তি। খাবারের বিকল্পটা খুব বেশি নেই খেলোয়াড়দের হাতে, তবে খাবারের অ্যাপের মাধ্যমে বাহির থেকে খাবার আনিয়ে আনার সুযোগটা আছে সফরকারী ভারতের হাতে।
তবে সুইমিংপুল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাটাই ভোগাচ্ছে ভারতকে। কারণ চোটখাট চোট, নিগলস কিংবা খেলা শেষের রিকভারির অনেকটাই হয় এই সুইমিং পুলেই। কিন্তু করোনার গুচ্ছভিত্তিক সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে এটাও বন্ধ রাখতে হয়েছে কুইন্সল্যান্ড সরকারকে।
ভারতকে আরও চোখ রাঙাচ্ছে দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিন। শেষ টেস্ট ২০ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। যদি দেশে ফিরে ন্যূনতম ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়, তাহলে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ড সিরিজে যে থাকতে পারবেন না অনেকেই! চোট তো আছেই, করোনা-সংক্রান্ত জটিলতাও তাই ভালোভাবেই ভাবাচ্ছে ভারতকে।
এনইউ/এটি