সেই ভারতই এখন চাপে রেখেছে ইংল্যান্ডকে
রুট আর বার্নসের ৮৫ রানের জুটিই বিপদ থেকে উদ্ধার এনে দিয়েছে ইংলিশদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৬৪ (রাহুল ১২৯, পান্ত ৩৭, জাদেজা ৪০; অ্যান্ডারসন ৬২-৫, রবিনসন ৭৩-২, উড ৯১-২, মইন ৫৩-১)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১১৯/২ (বার্নস ৪৯, সিবলি ১১, রুট ৪৮*; শামি ২৩-১, সিরাজ ৩৪-২)।
বড় স্কোরের আশায় দ্বিতীয় দিনে নামা ভারত গুটিয়ে গেল দিনে। জেমস অ্যান্ডারসন উঠে গেলেন ইতিহাসের পাতায়। এরপরও অবশ্য লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে পরিষ্কার স্বস্তিতে নেই ভারত বা ইংল্যান্ড কোনো দলই। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারানোয় চাপ যে চলে এসেছে তাদের ওপরও!
ভারতের বিপর্যয়ের শুরুটা হয় দিনের দ্বিতীয় বলে উইকেট হারিয়ে। অবশ্য সে যাত্রাতে অ্যান্ডারসন নন, আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুলকে প্রথম স্লিপে জো রুটের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন অলিভার রবিনসন। এর কিছু পরেই অজিঙ্কা রাহানেও শিকার বনে গেলেন অ্যান্ডারসনের, ভারতের বড় স্কোরের আশা পড়ে যায় ধোঁয়াশায়।
বিজ্ঞাপন
এরপর ঋষভ পান্ত আর রবীন্দ্র জাদেজার কল্যাণে সংগ্রহটা কিছুটা বড় হয়েছে ভারতের। দু’জনের এই প্রতিরোধ ভাঙেন মার্ক উড। ইশান্ত শর্মা আর যশপ্রীত বুমরাহ বিদায় নেন অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে, যে দুই উইকেট ইংলিশ এই পেসারকে তুলে দেয় ইতিহাসের পাতায়।
এর আগেই অবশ্য মোহাম্মদ শামি ফিরে গেছেন মইন আলির শিকার হয়ে। নিঃসঙ্গ লড়ে যাওয়া জাদেজা ফেরেন ৩৬৪ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। দ্বিতীয় দিনে ৮৬ রানে নিজেদের শেষ সাত উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তাতে দলটির বড় স্কোরের আশা শেষ হয় মাঝারি মাপের সংগ্রহে ভারতের।
বিজ্ঞাপন
জবাব দিতে নেমে ইংলিশরা নিজেদের প্রথম ১৪ ওভারে তেমন সমস্যায় না পড়লেও বিপদের শুরু হয় এরপরই। ১৫তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ যখন দুই বলে শিকার করে নেন ওপেনার ডম সিবলি ও হাসিব হামিদকে। সিরাজের দারুণ এক বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সিবলি, আর চার বছর পর দলে ফিরে প্রথম বলেই ডাকের বিস্বাদ নেন হাসিব।
এরপর রোরি বার্নস আর রুট মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে বিপদ থেকে প্রাথমিকভাবে রক্ষা করেন ইংলিশদের। তবে এরপর মোহাম্মদ শামির বলে অর্ধশতকের এক রান আগে বার্নস বিদায় নেন। তাতেই কিছুটা অস্বস্তি হাজির হয় তাদের ওপর। তবে ভরসা হিসেবে আজ রুট আছেন। তার ব্যাটে চড়েই লিড দেওয়ার আশায় আছে ইংলিশরা।
এনইউ