পোপের ব্যাটে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ, তবুও ম্যাচে টিকে আছে ভারত
ফিফটির পর দর্শক অভিবাদনের জবাব পোপের/ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত প্রথম ইনিংস ১৯১
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৯০ (পোপ ৮১, ওকস ৫০; যাদব ৩-৭৬)
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ৪৩-০ (রাহুল ২২*, রোহিত ২০*)
প্রথম ইনিংসে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ১৯০ রানে। দিনশেষে খুব সুখকর অবস্থানে ছিল না ইংলিশরাও, ৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল স্বাগতিক দলটি। কিন্তু ওলি পোপ আর ক্রিস ওকসের কল্যাণে শেষমেশ ৯৯ রানের লিড পেয়ে যায় জো রুটের দল। এরপর লোকেশ রাহুল আর রোহিত শর্মার ব্যাটে দারুণ জবাব দিচ্ছে সফরকারী ভারত।
আগের দিন উমেশ যাদব তর্কসাপেক্ষে সিরিজসেরা এক বলে উপড়ে দিয়েছিলেন জো রুটের শেকড়। প্রথম দিনটা যেখানে শেষ করেছিলেন উমেশ, সেখান থেকেই যেন তার শুরু হলো দ্বিতীয় দিনে। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা ক্রেইগ ওভারটনকে ফেরান দিনে নিজের চতুর্থ বলেই। এরপর দাভিদ মালানও সাজঘরের পথ ধরলেন উমেশের বলে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
এরপর জোনাথন বেয়ারস্টো আর ওলি পোপ প্রতি আক্রমণে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার একটু আগে দুই প্রান্তেই বোলার বদল করেছিলেন অধিনায়ক কোহলি, তবে মোহাম্মদ সিরাজ আর শার্দুল ঠাকুর সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি একটুও। দুই পাশ থেকেই দেদারসে রান এসেছে, ফলে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৭৭ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পরই ছন্দপতন ঘটে বেয়ারস্টোর। সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। অন্য প্রান্তে অবশ্য পোপ ছিলেন নিজের ছন্দেই। ৯২ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটা। ঘরের মাঠে এটাই ছিল তার প্রথম টেস্ট, যেখানে সারের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার গড় রীতিমতো ব্র্যাডম্যানকেও হার মানায়, ১০০’র ও বেশি!
বিজ্ঞাপন
সেই পোপ মইন আলিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন এরপর। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন মইন। যশপ্রীত বুমরাহর একটা বল পায়েও লেগেছিল তার, যেটা আঘাত করত স্টাম্পেও, কিন্তু সেটায় আবেদনই করেনি ভারত। এমন ‘জীবন’ পেয়েও অবশ্য খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি মইন। রবীন্দ্র জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন কভারে। ততক্ষণে অবশ্য মহামূল্য লিডটা আদায় করা হয়ে গেছে ইংলিশদের।
চা বিরতির একটু পরেও সেঞ্চুরির গন্ধ পেতে থাকা পোপ থেমে গেছেন ৮১ রানে, ঠাকুরের আউটসুইঙ্গারে ব্যাট চালাতে গিয়ে প্লেড অন হয়ে। এরপর অলি রবিনসনকে যখন বিদায় করলেন জাদেজা, ইংলিশরা হারাল তাদের নবম উইকেট। তবে ক্রিস ওকস জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে যোগ করেন আরও ৩৫ রান। দারুণ সব কভার ড্রাইভ, লেগ সাইডে করা সব পুলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকও। স্ট্রাইক ধরে রাখার তাড়নায় রান আউটটা না হলে হয়তো আরেকটু বড় হতে পারত তার ইনিংস, সেটা হয়নি তাই ইংল্যান্ডের ইনিংসও শেষ হয়েছে ২৯০ রানে, শতরানের লিড থেকে এক কম নিয়ে।
দিনের তখনও ষোল ওভার বাকি। ভারতকে আরেকটা ধস চোখরাঙানি দিচ্ছিল ভালোভাবেই। কিন্তু রোহিত আর রাহুল এরপর দাঁড়িয়ে গেলেন বুক চিতিয়ে। রোহিত অবশ্য একটা ভুল করেছিলেন, জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্লিপে। কিন্তু রোরি বার্ন্স সেটা ধরতেই পারলেন না। এরপর দিনটা নির্বিঘ্নেই পার করেছে ভারতীয় উদ্বোধনী জুটি। এখনো অবশ্য পিছিয়েই আছে, লিড পেতে হলে করতে হবে আরও ৫৬ রান।
এনইউ