বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার কিছু পর মিরপুর এক সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ১৫ সদস্যের দলে কারা সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ পাওয়াদের ৮ জনই এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার এবারসহ খেলবেন এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সবকটি আসন্ন।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা। নানা পথ পেরিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৭ অক্টোবর। ওমানের সঙ্গে বিশ্বকাপ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০১৬ সালের পর দীর্ঘ বিরতি পর বসবে এই মেগা আসএ। সবে মলিয়ে এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম পর্ব।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য বাংলাদশ যে ১৫ সদস্যের মূল স্কোয়াড দিয়েছে, সেখানে নাম আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারা ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের খেলেছেন। তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে না নিলে এ তালিকায় নিশ্চিত জায়গা পেতেন। ক্রিকেট বিশ্বের খুব কম খেলোয়াড়ের এমন অর্জন আছে।

সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন ১৫ সদস্যের দলের ৮ জন। তারা হলেন; শামীম পাটোয়ারি, শরিফুল ইসলাম, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদ। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দলের সঙ্গে যাওয়া আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও প্রথমারের মতো বিশ্বকাপের অংশ হলেন। দুজন স্ট্যান্ডবাই সহ সর্বোমোট ১৭ জনের স্কোয়াড।

এই দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘এই ১৭ জনের স্কোয়াড আমরা নির্বাচক প্যানেল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এই দলের ওপর। কারণ আমরা জিম্বাবুয়ে থেকে ধারাবাহিকভাবে এ দল নিয়েই তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছি – জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। আমরা আত্মবিশ্বাসী এ ধারাবাহিকতা রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমাদের দল ভালো করবে।’

সঙ্গে যোগ করেন নান্নু, ‘দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসাবে সবাই কিন্তু একটা সিস্টেমের মধ্যেই আছে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কেউ কিন্তু বাইরে নেই। সুতরাং সবাই অলমোস্ট প্রস্তুত আছে যখন যাকে দরকার হবে খেলানো হবে। আমার মনে হয় যে এই ধারাবাহিকতাই যাচ্ছে, ক্রিকেটাররাও তৈরি আছে, যাকে যখন দরকার পরবে ম্যানেজমেন্ট খেলাবে। আশাকরি সবার থেকে একই রকম পারফরম্যান্স আশা করছি।’

বিশ্বকাপ খেলতে আগামী ৪ অক্টোবর দেশ ছাড়ার কথা আছে টাইগারদের। বিশ্বকাপের মূল পর্বে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। একটি শ্রীলঙ্কা এবং অন্যটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া আরও একটি ম্যাচ খেলার ভাবনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।

টিআইএস/এটি/এনইউ