কচুরিপানায় ভরা ফতুল্লা স্টেডিয়াম নিয়ে টনক নড়েছে বিসিবির
দেখে একদমই বোঝার উপায় নেই এটি একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। স্টেডিয়ামের মূল ফটক থেকে আউটার স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকা কচুরিপানায় ভরা। বিষয়টি কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যম উঠে এলে অবশেষে টনক নড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ফতুল্লা স্টেডিয়ামের প্রাণ ফেরাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়েছে বিসিবি।
যদিও ফতুল্লা স্টেডিয়ামটি বিসিবির নিজস্ব সম্পত্তি নয়। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মতো এটির মালিকানাও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে ফতুল্লা স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসলেই পানি জমে যায়, খেলার অবস্থা থাকে না। এজন্য ফতুল্লার ড্রেনেজ সিস্টেম ও পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিসিবি।
বিজ্ঞাপন
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ইতোমধ্যে ফতুল্লার ড্রেনেজ সিস্টেম ও পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। বুয়েটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিটেল ড্রয়িং ডিজাইন করার জন্য। বুয়েট সেই ডিজাইন সাবমিট করেছে এবং আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠিয়েছি।’
সঙ্গে যোগ করে নিজামউদ্দিন, ‘আমরা আশা করছি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং স্টেডিয়ামটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
ফতুল্লা স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ২০১৬ সালে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। শেষ ওয়ানডে হয়েছে ২০১৪ সালের মার্চে, টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। মাঠ বিসিবি সেভাবে ব্যবহার না করায় চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল ঘরোয়া ফুটবল আয়োজনের জন্য। তবে বিভিন্ন প্রসঙ্গে টেনে বাফুফেকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বিসিবি। তবে নিজেরাও আয়োজন করেনি কোন ম্যাচ।
টিআইএস/এটি/এনইউ