শরিফুলের সঙ্গে কেন সেই ‘ম্যাশকিন’ উদযাপন, জানালেন তাসকিন
তাসকিন-শরিফুলের সেই উইকেটের উদযাপন/টুইটার
সিরিজের নিয়তি নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল আগেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটা তাই হয়ে পড়েছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। তবে নিরুত্তাপ সেই লড়াই ছাপিয়ে সেদিন আলোচনায় উঠে এসেছিল তাসকিন আহমেদের সঙ্গে শরিফুলের সেই বিখ্যাত উদযাপন। এবার সেই উদযাপনের কারণ জানালেন তাসকিন।
জিম্বাবুয়েতে দারুণ বোলিংই করেছিলেন তাসকিন। এরপরও অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড সিরিজের একটা বড় সময় ছিলেন সাইডবেঞ্চে। তবে বিশ্বকাপ দলে অবশ্য জায়গা করে নিয়েছিলেন ঠিকই। এরপরের দিনই শেষ ম্যাচে পেলেন মাঠে নামার সুযোগ।
বিজ্ঞাপন
খরুচে বোলিংয়ের পর উইকেট পেয়েছিলেন একটা। তবে তা ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিল শরিফুলের সঙ্গে তার উদযাপন। দু’পাশ থেকে তেড়ে এসে লাফিয়ে শূন্যে উঠে বুক মেলালেন দু’জনে।
এমন উদযাপন যেন চকিতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের নিয়ে গিয়েছিল সেই ২০১৫ বিশ্বকাপে। সেবার অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে এমন এক উদযাপনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই তাসকিনই। ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে নামও একটা হয়ে গিয়েছিল তার, ‘ম্যাশকিন উদযাপন’। সেটারই যেন পুনর্মঞ্চায়ন ঘটে মিরপুরে।
বিজ্ঞাপন
সেদিন হঠাৎই কেন এমন উদযাপন করলেন দু’জনে মিলে? সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন এক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন তাসকিন। তার জবাবেই বাংলাদেশি এই পেসার জানান, বিষয়টা আসলে ঘটেছিল শরিফুলের কথায়।
তাসকিনের ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপ দলে তো আমরা দু’জনই আছি, একটা ভিন্নতর উদযাপন করা দরকার ভাই, শরিফুল আমাকে এটা বলছিল বারবার। উত্তরে আমি বলেছিলাম, দেখ আমার তো তেমন কোনো উদযাপন করা হয়নি; একবারই হয়েছে, মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে, সেটাই করা যায়। ও বলল যে ঠিক আছে।’
এভাবেই নির্ধারিত হয়ে যায়, উইকেট পেলেই এভাবে হবে উদযাপন। এরপর উইকেট মিলল, হলো উদযাপনও; তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনাও হয়েছে বেশ। দু’জনেই আছেন বিশ্বকাপ দলে। সেখানেও এমন উদযাপন দেখার সম্ভাবনা আছে তাই।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যার যার মতো করে ছুটি কাটাচ্ছেন এখন। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ যাত্রা করবে আগামী ৩ অক্টোবর। এর আগে কোনো ক্যাম্প নেই অবশ্য দলের। বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড খেলতে ওমানে গিয়েই ক্যাম্প করবে দল। সেখানে বিশ্বকাপের আগে দল খেলবে কিছু প্রস্তুতি ম্যাচও।
এনইউ