পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফরের আরও বাকি দুই মাস। সেই সিরিজে আছে দুটো টেস্ট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে যার একটা ম্যাচ। সেই সাগরিকাতেই আগামীকার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ হাই পারফর্ম্যান্স দল ও ‘এ’ দল। পাকিস্তান সিরিজে এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি কাজে লাগবে বলে মনে করছেন ‘এ’ দলে থাকা নাজমুল হাসান শান্ত।

দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পদচারণা এমনিতেই কম। তার ওপর এখন যোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও। যার ফলে টেস্টে অন্তত পাঁচ মাসের একটা বড় বিরতিই পড়ে যাবে দলের। কিন্তু এর মধ্যে হাত গুঁটিয়ে বসে নেই বিসিবি। টেস্ট পরিমণ্ডলের ক্রিকেটারদেরকে খেলার মাঝে রাখতে আয়োজন করেছে সিরিজের।

যদিও এইচপি দলের সঙ্গে; তাও, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট তো! চার দিনের ম্যাচ আছে দুটো। তারই প্রথমটার শুরু আগামীকাল সকালে। এমন ম্যাচের কার্যকরিতা দেখছেন দলের সদস্য শান্ত। সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দিন পর আমরা যারা টেস্ট খেলি বা সাদা বলে কম খেলি তারা একত্রিত হয়ে সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা সবার জন্যই ভালো সুযোগ। লম্বা সময়ের বিরতি ছিল। ম্যাচের মধ্যে আসা খুব জরুরী ছিল। সাধারণত অনেক দিন পর পর টেস্ট খেলি। এক মাস বা ১৫ দিন পরপর খেলি তা না। দুটি টেস্টের মধ্যে বিরতি থাকে। ম্যাচের ভেতরে আসার দরকার ছিল। বিসিবি সেই সুযোগ আমাদের করে দিয়েছে।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামনে পাকিস্তান সিরিজ আছে, চট্টগ্রামে ম্যাচ আছে। এই সিরিজে আমরা যে চার দিনের ম্যাচ খেলব তা চট্টগ্রাম টেস্টে কাজে লাগবে। এতদিন তো সবাই নিজ নিজ বিভাগে আলাদা অনুশীলন করেছি। একসাথে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। আবার একসাথে অনুশীলন করা, এরকম সিরিজ খেলতে পারা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য খুবই ভালো।’

দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট অবশ্য এখানেই শেষ নয়। সামনে এনসিএলও মাঠে গড়াবে নতুন মৌসুমে। সেটাও প্রস্তুতির বড় উপলক্ষ, জানালেন শান্ত। বললেন, ‘সামনে এনসিএলও আছে। এটা ভালো প্রস্তুতির জায়গা। ব্যাটসম্যানরা রান পেলে, বোলাররা উইকেট পেলে এনসিএলে আত্মবিশ্বাসী থাকবে ও ভালো করার সুযোগ বেশি থাকবে।’

এনইউ